হামাসের হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরাইলি সেনারা। ফিলিস্তিনি সংগঠনের ৭ অক্টোবরের অভিযান থেকে নিজ নাগরিকদের রক্ষা না করতে পারার দায় স্বীকার করলো দেশটির সামরিক বাহিনী।
হামাসের আলোচিত অপারেশন "আল আকসা ফ্লাড" নিয়ে প্রথম দফার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আরডিএফ। এতে দেশটির সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতার কথা তুলে ধরা হয়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায় হামাস। এর মধ্যে অন্যতম কিবুজবিরি অভিযান। আবাসিক এলাকাটিতে বসবাস প্রায় এক হাজার বেশি ইসরায়েলি নাগরিকের। হামাসের ওই অভিযানে এলাকাটিতে প্রাণ হারায় শতাধিক ইসরাইলের। হামাস যোদ্ধারা হামলা চালায় ইসরাইলি নিরাপত্তা চৌকি ও ট্যাংকেও।
বিশ্ব রাজনীতি ও সামরিক ইতিহাসে তোলপাড় তোলা হামাসের ওই অভিযান নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এতে উঠে আসে কিবুজবিরি এলাকায় হামাসের সামরিক অভিযানের ইস্যুটি। বলা হয়েছে হামলার কয়েক ঘন্টা পার হলেও সেখানে পৌঁছাতে পারিনি ইসরাইলি সেনারা। এ ব্যর্থতার দায় আইডিএফ এর বলে স্বীকার করেছে ইজরাইলি বাহিনী।
ড্যানিয়েল হ্যাপারি, মুখপাত্র, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেন, ইসরাইলি সেনারা কিবুজবিরির বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে,সেনাদের দায়িত্ব ছিল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় সেটা তার করতে পারেননি। আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘ সময় ধরে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য নিজেরাই লড়াই করেছে।"
এদিকে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করা ওই প্রতিবেদন প্রকাশের করার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ইসরাইলি সাধারণ জনগণ। বিশেষ করে কিবুজবিরির এলাকার বাসিন্দারা বলছে, দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
এমিট সোলভ, চেয়ারম্যান কিবুজবিরির বলছেন, "হামলার সাথে সাথে কেন সেনারা সেখানে উপস্থিত হলো না, কেন আমাদেরকে একাকী নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রাখা হলো? এই প্রশ্নের উত্তর প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়নি।
প্রতিবেদনে উঠে আসে গোয়েন্দা তথ্য এবং ইসরাইলি বাহিনীর অপ্রস্তুত থাকার বিষয়টিও। আকস্মিক অভিযানে হতবুদ্ধি হয়ে পড়ে চৌকস হিসেবে পরিচিত ইসরাইলের সামরিক বাহিনী সদস্যরা। ফলে দেখা দেয় সমন্বয়হীনতা। সূত্রঃ সিএনএন