ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যা চেষ্টার পর তোলপাড় চলছে মার্কিন রাজনীতিতে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের ওপর হামলার জন্য বাইডেনকে দায়ী করছে রিপাবলিকানরা।
অন্যদিকে ডেমোক্রেটদের দাবি ভোটের আগে সাধারণের আবেগকে কাজে লাগানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছে রিপাবলিকানরা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যা চেষ্টার পর উত্তেজনা বিরাজ করছে মার্কিন রাজনীতিতে। এরই মধ্যে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ, মতামত ও কাদা ছোড়াছুড়িতে তৈরি হয়েছে চরম রাজনৈতিক উত্তেজনা।
বিরোধী ও ক্ষমতাসীনদের মধ্যে চলছে দোষারোপ ও পাল্টা দোষারোপ। নির্বাচনের মাত্র তিন মাস আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর এমন হামলায় অভিযুক্ত হতে হয়েছে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে। আবার কেউ এক ধাপ এগিয়ে বলছে বাইডেনের নির্দেশে করা হয় হত্যার চেষ্টা।
রিপাবলিকান সিনেটার যে.ডি.ভেন্স বলেন, “এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা জো বাইডেনের প্রচার শিবিরের বাড়াবাড়ির ফল। তারা ট্রাম্পকে কর্তৃত্ববাদী বলে দাবি করে। তাদের একটাই লক্ষ্য যে কোন মূল্যে ট্রাম কে থামাতে হবে। ”
ট্রেইলর গ্রীনি, কংগ্রেস সদস্য রিপাবলিকান পার্টি বলেন, “ট্রাম্প চলে যাক ডেমোক্রেটিকরা অনেক দিন ধরেই চাচ্ছিল। এজন্য যা কিছু করা দরকার তার জন্য প্রস্তুত ছিল দলটি। ”
ডেমোক্রেটদের দাবি, রিপাবলিকান পার্টির প্রচারণার চাল এটি। যে কোন মূল্য যাতে পাবলিক সেন্টিমেন্ট কে প্রভাবিত করা যায়, তার জন্য এটা করা হয়েছে।
হামলাকারী রিপাবলিকান পার্টির একজন নিবন্ধিত ভোটার। এই তথ্য প্রকাশের পর ডেমোক্রেটদের যুক্তি আরোও পোক্ত হয়েছে।
তবে
ট্রাম্পের উপরে হামলা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে মার্কিন নিরাপত্তাব্যবস্থায়। আরোও বিমুগ্ধ ও বিভক্ত হয়েছে
সমাজ। রাজনীতিতে যার নেতিবাচক প্রভাব এমনকি সহিংসতারও আশঙ্কা করছে অনেক বিশ্লেষক।