সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় আততায়ির হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। পেনসেলভিনিয়ার একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করছিলেন। গুলিতে তার ডান কান ও মুখের কিছু অংশ মারাত্মক জখম হয়েছে। বর্তমানে ট্রাম্প হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন ট্রান সমর্থক বলেন, "ট্রাম যখন বক্তব্য প্রদান করছিলেন, এ সময় পরপর সাত রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান। এবং ট্রাম্পকে কানে হাত দিয়ে বসে পড়তে দেখান। তখন তিনি রক্তাক্ত ছিলেন।"
সিক্রেট সার্ভিস এর সদস্যগণ তাৎক্ষণিক আক্রমণকারীর মাথায় গুলি করে হত্যা করে। তবে আক্রমণকারী সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
এই
হামলায় এখন পর্যন্ত ২ জন নিহত হয়েছে। যেখানে
একজন হামলাকারী এবং একজন ট্রাম্প সমর্থক। এছাড়াও
২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। যাদের হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে। এডাম নামে ১৮ বছর বয়সি এক
জন যুবকে এই ঘটনায় সন্দেহজনক হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন জাতির উদ্দেশ্যে এক জরুরী ভাষণ দিয়েছেন। তিনি ট্রাম্পের উপর এই হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। বড় ধরনের কোন ক্ষতি না হওয়ার কারণে তিনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন । বক্তব্যে তিনি জানান, ডাক্তার এবং সিক্রেট সার্ভিস এর সদস্যদের সাথে তিনি নিবিড় ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
এ ঘটনায় হতাহত অন্যান্য ট্রাম্প সমর্থকদের প্রতি তিনি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোন তথ্যপ্রমাণ উপস্থিত হয়নি, তথ্য প্রমাণ পাওয়া মাত্রই এটি প্রকাশ করা হবে।
এদিকে অনেক ট্রাম্প সমর্থক এই ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও ট্রাম্পকে হত্যা করার রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস এটি একটি কালো অধ্যায় হিসেবে স্বীকৃত হলো।