কম্পিউটার কি? কম্পিউটার এর কাজ কি ,কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে, কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য


কম্পিউটার কি? কম্পিউটার এর কাজ কি ,কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে, কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

কম্পিউটার কি? 

কম্পিউটার কি এটি একটি বহুল প্রচলিত টার্ম।  কম্পিটার কি এই প্রশ্নের উত্তর সহ কম্পিউটার সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।   ইংরেজি Computer শব্দটি ল্যাটিন শব্দ 'Computare' থেকে এসেছে, যার আভিধানিক অর্থ গণনা যন্ত্র বা হিসাবকারী যন্ত্র।  কম্পিউটার এমন একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যার সাহায্যে নির্ভুলভাবে ও তড়িৎগতিতে গাণিতিক যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ও যুক্তিমূলক কাজ করা যায়। 

এতে ডেটা গ্রহণ, বিন্যাস ও বিশ্লেষণ করার পর ঐ ডেটাকে মেমরীতে সংরক্ষণ করা যায় এবং এ সকল তথ্যাদি ব্যবহার করে ফলাফল পাওয়া যায়। কম্পিউটার দিয়ে মূলত গাণিতিক, যুক্তি ও সিদ্ধান্তমূলক কাজ করা যায়। মানুষ কম্পিউটার  যতটুকু বুদ্ধি বা ক্ষমতা দিয়ে তৈরি করবে কমপিউটার ততটুকুই কাজ করবে। কারণ কম্পিউটার নিজস্ব কোন বুদ্ধিমত্তা নেই। কম্পিউটার নিজে কোন কাজ করতে পারে না।  মানুষের দেয়া নির্দেশ অনুযায়ী কম্পিউটার কাজ করে থাকে।

কম্পিউটার ইনপুট গ্রহণ করে প্রক্রিয়াকরণের পর প্রাপ্ত ফলাফলকে আউটপুটে প্রদান করে।  প্রক্রিয়াকরণের ফলাফল মেমোরিতে সংরক্ষণ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তা উপস্থাপন, সম্পাদনা, হালনাগাদকরণ অথবা মুছে ফেলা যায়।

কম্পিউটার কেবল প্রোগ্রাম অনুযায়ী তথ্য, উপাত্ত ও নির্দেশনা পেলেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল প্রদান করতে পারে, নিজ থেকে কিছুই করতে সক্ষম নয় । কম্পিউটার ব্যবহারকারীর ইচ্ছানুযায়ী কাজ করে। কম্পিউটার যা কিছু করে তার পুরোটাই একটা সিস্টেমের (সফটওয়্যার) মধ্য দিয়ে চলে।

কম্পিউটার মানুষের মতো হঠাৎ করে বা ধীরে সুস্থে বুদ্ধি বিবেচনা করে কিছু করতে পারে না। কারণ এর কোনো বুদ্ধি বিবেচনা নেই। কম্পিউটার একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র। এটি নিজস্ব স্মৃতিভাণ্ডারে এক বা একাধিক কাজের জন্য নির্দেশাবলি সংরক্ষণ করে রাখে। অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের অনুরূপ কিছু বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে পরিলক্ষিত হলেও এর নিজস্ব কিছু স্বাতন্ত্র রয়েছে যা কম্পিউটারকে সমস্ত ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও সর্বাপেক্ষা ব্যবহারোপযোগী যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

Table of Contents

কম্পিউটার এর কাজ কি 

কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে

কম্পিউটার এর কাজ কি বা কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহৃত হয় বা কম্পিউটার কাজ করে :

কৃষিক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

গবেষণা: কৃষি গবেষণায় কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। যেমন: আবাদ চর্চা, ফসল পরিবর্তন, রাসায়নিক সারের পরিমাণ ও রকম নির্ধারণ, মাটির গুণাগুণ, বীজের গুণাগুণ নির্ধারণ, উন্নত বীজ আবিষ্কার ইত্যাদি।

ই-কৃষি তথ্য : কৃষি সম্পর্কিত সব ধরনের তথ্য সম্বলিত এক ধরনের ডাটাবেজ তৈরি সম্ভব, যাতে করে কৃষক সহজেই তা পেতে পাৱে ৷

ইন্টারনেট : কৃষক কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হতে পারে । ফলে কৃষক তার কৃষি সম্পর্কিত সকল সমস্যার সমাধান পেতে পারে। 

সচেতনতা : কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে কম্পিউটার অপরিহার্য। উপযুক্ত সফট্ওয়্যারের মাধ্যমে কৃষকদের কৃষি সম্পর্কিত সকল বিষয়ে অবগত করা ও জনসচেতন করা যায়।

ই-বাজার : কৃষকরা কম্পিউটারের মাধ্যমেই লেনদেন করতে পারে ।

আবহাওয়া : কৃষিক্ষেত্রের সাফল্য আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। কম্পিউটারচালিত উপগ্রহ থেকে নেয়া তথ্য পর্যবেক্ষণ করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া যায়। এতে করে কৃষকরা, তাপমাত্রা, চাপ, বৃষ্টিপাত সম্পর্কে সচেতন হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

রেকর্ড : কৃষিক্ষেত্রে সকল তথ্যের রেকর্ড থাকা জরুরি। যেমন : কৃষি বাজেট রেকর্ড, পশু-স্বাস্থ্য রেকর্ড, জমি মানচিত্র ইত্যাদি ক্ষেত্রে কম্পিউটার অপরিহার্য।

জিআইএস (Geographical Information System) : নির্দিষ্ট কোনো এলাকা থেকে সেই এলাকার ম্যাপ, মডেল, অনুসন্ধান এবং আরও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করার কম্পিউটার চালিত পদ্ধতিকেই জিআইএস বলে। উন্নত দেশসমূহে এই পদ্ধতি চালু আছে।


যোগাযোগ ব্যবস্থায় কম্পিউটারের ব্যবহার


ইলেকট্রনিক মেইল : 

কম্পিউটারের নেটওয়ার্কের সাহায্যে অনেক দূরের সাথে যোগাযোগ করা যায়। অর্থাৎ দূরের কোনো কম্পিউটার থেকে ডেটা বা সংবাদ আহরণ করা যায় বা তার কাছে খবর পাঠানো যায় । এ জন্য একে বলে ইলেকট্রনিক মেইল ।

ভিডিও ট্রেক : 

ভিডিও ট্রেক ব্যবহার করে কম্পিউটার ব্যবস্থার সাহায্যে টেলিভিশন কেন্দ্র থেকে যে কোনো বিষয় সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় সংবাদ, তথ্য বা গ্রাফ টিভির পর্দায় ফুটিয়ে তোলা যায় ।

টেলিফোন : 

বর্তমানে কম্পিউটার চালিত টেলিফোন একচেঞ্জের ব্যবস্থা হয়েছে । কম্পিউটারই প্রেরক ও গ্রাহকের টেলিফোন লাইনের মধ্যে সংযোগ ঘটায় । প্রেরক ও গ্রাহকের টেলিফোন নম্বর, কথা বলার সময় সংক্রান্ত সকল ডেটা কম্পিউটার সংরক্ষণ করে মাস শেষে বিল তৈরি করে ।

ফ্যাকসিমিলি প্রেরণ : 

ফ্যাকসিমিলি অর্থ ট্রু কপি। অনেক সময় একই সংবাদপত্র বিভিন্ন শহর থেকে প্রকাশিত হয় । এ ক্ষেত্রে যে শহরে সংবাদপত্র প্রথমে ছাপা হয় সেখান থেকে তার প্রত্যেক পৃষ্ঠার ফ্যাকসিমিলি কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে অন্য শহরে নিয়ে যাওয়া হয় ও সেখান থেকে তা ছাপিয়ে প্রকাশ করা হয় ।

যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ : 

বিমান, নভোযান ও নদীপথে জাহাজের গতি নিয়ন্ত্রণ, দিক নির্দেশনা ও অবস্থান নির্ণয়ে কম্পিউটার ব্যাপক ভূমিকা রাখে ।

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ : 

কম্পিউটার একটা গোটা অঞ্চলের কোন রাস্তায় কত গাড়ি চলাচল করছে, প্রতি মুহূর্তে তা হিসাব করে সেভাবে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এতে গাড়ি চলাচল দ্রুত হয় এবং ট্রাফিক জ্যাম হ্রাস করা সম্ভব হয় ৷

শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার


শিক্ষাদান :

শিক্ষাদানের জন্য কম্পিউটার বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে । প্রাথমিক শ্রেণীগুলোতে কার্টুন চিত্রের মাধ্যমে বর্ণ পরিচয়, গল্পের মাধ্যমে শিক্ষাদান, উচ্চারণ শেখা, প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে শিক্ষা ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার ব্যবহার করা যায় । এছাড়া সিডি ব্যবহার করে স্থির ও চলমান চিত্রের সাহায্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূভাবে পাটিগণিত, বীজগণিত, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, জীববিদ্যা, ভাষা, সাহিত্য, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস এবং ভূগোল বিষয়ের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায়।

গবেষণার কাজ :

যে কোনো গবেষণার কাজে সফলভাবে সম্পাদন করার জন্য বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রীরা এনাটমি, ফিজিওলজির বিষয় সিডি'র সাহায্যে অত্যন্ত চমৎকারভাবে শিখতে পারে। সিডিতে তৈরি এসব বিষয় বাস্তবে দেখার চেয়েও সূক্ষ্ম এবং বিশদভাবে অবলোকন করা যায়। প্রকৌশলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যও কম্পিউটার একই রকম সুযোগ দিয়ে থাকে। ফলে গবেষণার কাজ আরও সহজ হয়।

তথ্য সংরক্ষণ :

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য সংরক্ষণের কাজ কম্পিউটারের সাহায্যে করা হয়ে থাকে। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবতীয় কার্যাবলির তথ্যাবলি কম্পিউটারের স্মৃতিতে মজুদ রাখা যায়। পরবর্তিতে প্রয়োজন অনুযায়ী স্মৃতি থেকে তথ্য গ্রহণ করা হয় । 

পরীক্ষার ফলাফল তৈরি, প্রকাশ ও সংরক্ষণ :

বর্তমানে আমাদের দেশের পরীক্ষার ফলাফল তৈরির জন্য কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া নৈর্ব্যক্তিক বিষয়ে উত্তরপত্র সাধারণ কম্পিউটারের মাধ্যমে নম্বর প্রদান করা হয় ।

পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন :

কম্পিউটারের সাথে অপটিক্যাল মার্ক রিডার (OMR) সংযোগ করে বর্তমানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে উত্তরপত্র অবশ্যই রিডার বা পঠনযন্ত্রের বোধগম্য হতে হয়। এছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের অন্যান্য ব্যাবহারগুলো হলো-

  1. ডিজিটাল ই-লার্নিং ব্যবস্থায় কম্পিউটার প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
  2. শিক্ষার্থীদের প্রজেক্টরের সাহায্যে ক্লাস নেয়া বর্তমানে কম্পিউটার ছাড়া কল্পনা করা যায় না।
  3. দূরশিক্ষণ, ইন্টারেকটিভ শিক্ষার জন্য কম্পিউটার একটি অপরিহার্য মাধ্যম। ইন্টারনেটের সাহায্যে কম্পিউটার ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষা, গবেষণা ও পরীক্ষায় অংশ নেয়া যায়।
  4. কম্পিউটারের মাধ্যমে অপ্রতুল বইগুলো পড়া যায় । ডাউনলোড যোগ্য বই বাস্তবে আনা যায় । এছাড়া কম্পিউটার ক্যাটালগ ব্যবস্থা ও ই-লাইব্রেরির ধারণাও বর্তমানে কম্পিউটারের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।


স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার


রোগ নির্ণয় :

বিভিন্ন রোগের লক্ষণ, মূত্র এবং রক্তের উপাদানের তারতম্য সম্বন্ধে সব ডেটা কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। রোগীর ডায়াগনোসিসের সকল তথ্য কম্পিউটারে ইনপুট করা হয় । কম্পিউটারে সংরক্ষিত তথ্যের সাথে তুলনা করে কম্পিউটার সম্ভাব্য রোগ নির্ণয় করে। এছাড়া কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত স্ক্যানার মস্তিষ্ক ও শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট সূক্ষ্মভাবে পরীক্ষা করে কোথাও অস্বাভাবিকতা আছে কি-না তা নির্ণয় করতে পারে।

 

রোগীদের তথ্য সংরক্ষণ : রোগীদের তথ্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য কম্পিউটার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

চিকিৎসা গবেষণা :

বর্তমানে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা ও টিউমারের গঠন প্রকৃতি সম্পর্কে কম্পিউটারের সাহায্যে গবেষণার কাজ করা হয় । এছাড়া চোখের ক্ষমতা নির্ণয় এবং এক্স-রে সহ অনেক পরীক্ষার কাজ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের সাহায্যে করা হয়।


অনলাইন চিকিৎসা সেবা :

ইন্টারনেটের প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদেশ না গিয়েও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণের সেবা গ্রহণ করা যায় । রোগীর রোগের বিবরণ সম্বলিত ডেটাবেজ তৈরি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টসহ ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন ইন্টারনেটের মাধ্যমে দূর-দূরান্তে অবস্থানকারী ডাক্তারদের কাছে পাঠালে তাঁরা এগুলো দেখে ব্যবস্থাপত্র বা কোনো পরামর্শ দিতে পারেন। ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ডাক্তারেরা দেশের মধ্যে অথবা দেশের বাইরের রোগীদেরকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারেন ।


উপরোক্ত চিকিৎসা সুবিধা ছাড়াও হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। হাসপাতাল বা ক্লিনিকের সমস্ত হিসাবপত্র, বেডে রোগীর সংখ্যা, রোগীদের ঔষধ প্রদানের সময়সূচি, ডাক্তারের রোগী দেখার সময়সূচি, রোগীর যাবতীয় তথ্য এবং কর্মচারীদের তথ্য সংরক্ষণ করা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে ।


শিল্পক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার:

শিল্পক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার বর্তমানে অনেক হচ্ছে। পণ্য ডিজাইন থেকে শুরু করে ঝুঁকিপূর্ণ কার্যাদি সম্পাদনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে । এমন অনেক উৎপাদন প্রক্রিয়া আছে যা কম্পিউটার ছাড়া চিন্তাই করা যায় না। নিম্নোক্তভাবে শিল্পক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।


উপাত্ত সংগ্রহ :

শিল্পক্ষেত্রে বিভিন্ন উপাত্ত যেমন তাপমাত্রা, তরল পদার্থের প্রবাহ, ঘনত্ব, মোটরের গতি, যন্ত্রপাতির কম্পনের সংখ্যা ইত্যাদি সংগ্রহ করে কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়।


উৎপাদনের মান যাচাই :

সংগৃহীত উপাত্ত হতে প্রাপ্ত ফলাফল কম্পিউটারের স্মৃতিতে সংরক্ষিত আদর্শ মানের সাথে তুলনা করে উৎপাদনের মান যাচাই করা যায়।


স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ :

কম্পিউটার দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কারখানার পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রতিকূল পরিবেশে, যেমন বেশি গরম বা বেশি ঠান্ডায়, মানুষ কাজ করতে না পারলে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবট দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করা সম্ভব।


পণ্যাদির ডিজাইন :

লাভজনক কারখানার পূর্বশর্ত উৎপাদিত পণ্যের বিক্রয়যোগ্যতা। বিক্রয়যোগ্যতার শর্ত ভাল ডিজাইন। বর্তমানকালে CAD (Computer Aided Design) অল্প সময়ে পণ্যের চমৎকার সব ডিজাইন তৈরি করা যায়। কোনো পণ্যের অনেক রকমের ডিজাইন তৈরি করে সেগুলোকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করে একটিকে নির্বাচন করা যায়।


রোবট ব্যবহার :

কারখানায় কিছু কাজ থাকে যেগুলো খুবই সূক্ষ্ম, আবার কিছু কাজ আছে সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ও শ্রমসাধ্য । যেমন-কম্পিউটার কিংবা ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশ তৈরি, খনিতে উত্তোলনের কাজ অথবা ভারী শিল্পের বড় বড় বস্তু স্থানান্তর ইত্যদি কাজ রোবটের মাধ্যমে করানো হয় ।  তাছাড়া প্রতিকূল পরিবেশ যেখানে মানুষের পক্ষে কাজ করা কঠিন সেখানে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবট দিয়ে কাজ করতে দেখা যায় । এছাড়াও শ্রমিক-কর্মচারীদের মাসিক বেতনের হিসাব, বার্ষিক রিপোর্ট ও বার্ষিক বাজেট তৈরি ইত্যাদি কম্পিউটারের মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে।


যাতায়াত ব্যবস্থায় কম্পিউটারের ব্যবহার: 


জল, স্থল, বিমান পথসহ সকল যোগাযোগ ব্যবস্থায়ই কম্পিউটারের প্রয়োগ অনিবার্য হয়ে হয়ে উঠেছে। যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে, ট্রাফিক কন্ট্রোল, টিকেট বুকিংসহ মহাশূন্যে পাঠানো নভোযানকেও নিয়ন্ত্রণ করছে কম্পিউটার। নিচে আধুনিক যাতায়াত ব্যবস্থায় কম্পিউটার প্রয়োগের কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হলো :

বিমান চলাচল :

বর্তমানে বিমান চলাচল ব্যবস্থায় কম্পিউটারের মাধ্যমে যাত্রীদের টিকেট বুকিং, বিমানের জ্বালানির হিসাব ও নিয়ন্ত্রণ, গতি নিয়ন্ত্রণ, বিমানের আগমন ও নির্গমন, বিলম্বের কারণ এবং বিমানের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।


রেল চলাচল :

বর্তমান বিশ্বে প্রায় বেশির ভাগ দেশেই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত । এ ছাড়া যাত্রীদের সঠিক সংখ্যা, টিকেট বুকিং অর্জিত মোট টাকার পরিমাণ, রেলের ইঞ্জিনের সংখ্যা, বগির সংখ্যা, ট্রেনের আগমন ও বিলম্বে যাত্রীদের প্রেরণ প্রভৃতি কাজ সহজ ও নির্ভুলভাবে কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হচ্ছে।


নৌ চলাচল :

নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থায় কম্পিউটারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে নৌযান এর অবস্থান ও গতি সম্পর্কে ক্যাপ্টেনকে ধারণা দেওয়া, জ্বালানি, গতি ও মালামাল ওজনের নির্দেশ ও সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় । এছাড়া ঝড়-তুফান, সাইক্লোন ইত্যাদির আগমন সংবাদ ও এ সময়ে জাহাজের সঠিক নিয়ন্ত্রণে কম্পিউটার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । 


নভোযান ও মহাশূন্য অভিযান :

নভোযান ডিজাইন, নিয়ন্ত্রণ এবং নভো-যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটারের নিরভর।  NASA (National Aeronautics and Space Administration) কম্পিউটার ব্যবহার করে নভোযানের অবস্থান, গতি প্রদর্শন এবং নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হয় ।


খেলাধুলায় কম্পিউটারের ব্যবহার

ক্রিকেট খেলায় ব্যবহৃত DRS (Decision - Review System), Hawk Eye, Sink-O-Meter, Ball spin RPM, Hot spot ইত্যাদি সবকিছুই কম্পিউটারচালিত । খেলার স্কোরবোর্ড, বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করতে কম্পিউটার কাজে লাগে ।

কম্পিউটার কি? কম্পিউটার এর কাজ কি ,কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে, কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

 কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য 

কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ 


১।  স্বয়ংক্রিয় (Automatic) :

কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদত্ত নির্দেশের ভিত্তিতে ধারাবাহিকভাবে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে উপযুক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয় । তবে কম্পিউটারের এই স্বয়ংক্রিয়তার জন্য এতে নানা ধরনের ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি যুক্ত করে দেওয়া হয় এবং উপযুক্ত প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়।

২।  দ্রুতগতি (High Speed) :

কম্পিউটার অত্যন্ত দ্রুতগতিতে কাজ করে। এই দ্রুতগতির কারণ এটা কাজ করে বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমে, যার গতি প্রায় আলোর বেগের সমান । কম্পিউটার দ্বারা অতি অল্প সময়ে বিপুল পরিমাণ ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করা সম্ভব। কম্পিউটারে দ্রুত গতিসম্পন্ন গণনার কাজকে মিলিসেকেন্ড, মাইক্রোসেকেন্ড, ন্যানো সেকেন্ড, পিকোসেকেন্ড ইত্যাদি সময়ের একক হিসেবে কাজ করা হয় । তবে কম্পিউটারের কাজের গতি প্রকাশ করা হয় ন্যানোসেকেন্ড দ্বারা। কম্পিউটারের একটি কাজ সম্পূর্ণ করতে ১ ন্যানো সেকেন্ড সময় লাগে। 

৩।  নির্ভুলতা (Accuracy) :

কম্পিউটারের কাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো নির্ভুলতা। সঠিক নির্দেশনা, প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে কম্পিউটার নির্ভুলভাবে ফলাফল প্রদান করে। কম্পিউটারের কারিগরি ত্রুটি, ব্যবহারকারীর নির্দেশনার ত্রুটি, ত্রুটিপূর্ণ তথ্য, উপাত্ত ইত্যাদির কারণেই কেবল কম্পিউটারের কার্যক্রমে ভুল হতে পারে।

কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

৪।  ক্লান্তিহীনতা (Diligence) : 


ক্লান্তি ও অবসাদের জন্য মানুষ দীর্ঘক্ষণ কোনো কাজ করতে পারে না। কিন্তু কম্পিউটার বিরক্তিহীন, ক্লান্তিহীনভাবে কাজ ঘণ্টার পর ঘণ্টা করে যেতে পারে। তাই কম্পিউটার সকল প্রকার ক্লান্তি ও অবসাদগ্রস্ততার ঊর্ধ্বে ।

৫।  বহুমুখিতা (Versatility) : 


কম্পিউটারই একমাত্র যন্ত্র যার মাধ্যমে একসাথে একাধিক কাজ করা সম্ভব। কম্পিউটারের সাহায্যে কর্মচারীদের বিল তৈরি থেকে শুরু করে কোম্পানির লাভ-ক্ষতি নির্ধারণ, টাইপ করা, তথ্য খুঁজে বের করা এমনকি ভাষান্তরের কাজও করা যায়।  তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে সাথে এই বহুমুখিতাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে কম্পিউটার দিয়ে টিভি দেখা যাচ্ছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল তথ্য মনিটরে নিয়ে এসে প্রয়োজন অনুসারে প্রিন্ট করা যাচ্ছে, ব্যাংকিং সিস্টেম পরিচালনা করা যাচ্ছে, লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনার কাজ করা যাচ্ছে।


৬।  স্মৃতি (Memory) : 

কম্পিউটারের বিশাল ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্মৃতিভাণ্ডার আছে। কম্পিউটার সকল তথ্য বা রেকর্ড সংরক্ষণ করে এবং ব্যবহারকারীর প্রয়োজনমতো তা প্রদর্শন করতে পারে। কম্পিউটার স্মৃতিতে রক্ষিত তথ্যাদির কোনো বিকৃতি বা পরিশোধন ঘটে না। কম্পিউটারের এই ধারণক্ষমতা বাইট, কিলোবাইট, গিগাবাইট এবং টেরাবাইট-এ পরিমাপ করা হয় ।


৭।  অনুভূতিহীন ও নির্বোধ যন্ত্র (No Feeling) :

যন্ত্র মানেই অনুভূতিহীন ও নির্বোধ যা কম্পিউটারের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য । মানুষের মত বিচার-বুদ্ধি ও আবেগ না থাকায় কম্পিউটার নিজস্ব চিন্তার দ্বারা কোনো কাজ সম্পাদন করতে পারে না । দ্রুতগতিতে জটিল কাজ করে দিতে পারলেও একজন মানুষ বুদ্ধি খাটিয়ে যে কাজ সম্পাদন করতে পারে কম্পিউটার তা পারে না ।  এ জন্য এত ক্ষমতার অধিকারী হয়েও কম্পিউটার নির্বোধ।


৮।  আই কিউ হীন (No IQ) :

কম্পিউটারের নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা নেই। নিজ থেকে কম্পিউটার কোনো কাজ করতে পারে না। ব্যবহারকারী যেমন তথ্য ও নির্দেশনা প্রদান করবে কম্পিউটার কেবল সেরূপ কার্য সম্পাদন করতে সক্ষম। কার্য সংক্রান্ত এর নিজস্ব কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কম্পিউটারের নেই।


৯।  যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণ (Taking Logical Decision) :                                                       

কম্পিউটারের নিজস্ব কোনো বিচার-বিবেচনা, চিন্তা শক্তি নেই। তবে নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের সাহায্যে কিছু যুক্তি প্রদর্শন ও সে অনুযায়ী কার্য সম্পাদনে সক্ষম । এ কারণে কম্পিউটার নির্দেশিত প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।


১০।  বিশ্বাসযোগ্যতা (Reliability) :

কম্পিউটার দ্রুতগতিতে নির্ভুল কাজ করে। উন্নত প্রযুক্তির কারণে কম্পিউটারে সবসময় নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম দিয়ে নির্দিষ্ট কাজ সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে করা যায় । অর্থাৎ মানুষ ভুল করে কিন্তু কম্পিউটার ভুল করে না ।


১১।  উপাত্ত প্রক্রিয়াকণের ক্ষমতা (Ability to Process Data) :                                                  

মানুষ নিজেকে প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সংকেত ব্যবহার করে থাকে। কম্পিউটার সে সকল সংকেত প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পন্ন করে বিভিন্ন বিষয় ব্যক্ত করার কাজে সহায়তা করে। উপাত্ত হচ্ছে তথ্যের কাঁচামাল । এই উপাত্তকে প্রক্রিয়াকরণ করে তথ্যে পরিণত করতে হয় । কম্পিউটার এই তথ্যকে নির্দেশ অনুযায়ী প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পাদন করে চূড়ান্ত ফলাফল বা আউটপুট প্রদান করে । এভাবে কম্পিউটার প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারে।


১২।  সূক্ষ্মতা (Exactness) :

কম্পিউটারের দেওয়া ফলাফলের সূক্ষ্মতা অতুলনীয়, যা মানুষের পক্ষে করা সম্ভব হয় না। সূক্ষ্মতার কারণে মানুষের কাজ অত্যন্ত সুচারুভাবে কম্পিউটারের সাহায্যে করা সম্ভব।



 কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে

কম্পিউটার কি? কম্পিউটার এর কাজ কি ,কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে, কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ 


কম্পিউটার নিজ থেকে কিছু করতে সক্ষম নয়। ব্যবহারকারীর ইচ্ছানুযায়ী কম্পিউটার কাজ করে। ব্যবহারকারীর প্রকৃতি ও ধরনের যেমন ভিন্নতা থাকে, তেমনি প্রয়োজন মেটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন প্রোগ্রাম তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে । আর এ কারণে কম্পিউটারের বহুমুখী ব্যবহার পরিলক্ষিত হয় । কম্পিউটার অত্যন্ত দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে কাজ সম্পাদন করতে পারে।  নিচে কম্পিউটারের প্রধান কাজগুলো আলোচনা করা হলো-


১।  ডেটা ও নির্দেশ গ্রহণ (Data & Information): 

কম্পিউটারের অন্যতম প্রধান কাজ হলো প্রয়োজনীয় ডাটা গ্রহণ করা । এই জন্য কম্পিউটার কী-বোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, জয়স্টিক, ডিস্ক, ক্যামেরা, ওসিআর, ওএমআর ইত্যাদি ইনপুট যন্ত্রের মাধ্যমে ডেটা ও নির্দেশনাবলি গ্রহণ করে থাকে ।


২।  প্রোগ্রাম নির্বাহ (Program execute): 

কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে প্রোগ্রামারদের মাধ্যমে তৈরিকৃত প্রোগ্রাম কম্পিউটার তার স্মৃতিতে সংরক্ষণ করে এবং ব্যবহারকারীর নির্দেশ অনুযায়ী প্রোগ্রাম নির্বাহ করে থাকে ।


৩।  ডেটা প্রসেস (Data Process): কম্পিউটার প্রয়োজনীয় ডেটা ও নির্দেশ ব্যবহার করে প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে ।

৪। ফলাফল প্রকাশ (Output): কম্পিউটার প্রক্রিয়াকৃত ফলাফল মনিটরের মাধ্যমে প্রকাশ করে অথবা প্রিন্টারের মাধ্যমে কাগজে মুদ্রণ করে অথবা বিভিন্ন সহায়ক স্মৃতিতে সংরক্ষণ করে ।

কম্পিউটার দিয়ে কোনো কাজ করানোর জন্য কম্পিউটারকে সেই কাজের তথ্য উপাত্ত প্রদান করতে হবে। তথ্য উপাত্ত দিয়ে কী করতে হবে সে বিষয়ে কম্পিউটারকে নির্দেশ দিতে হয়। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তকে ব্যবহারকারীর নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবহার করে কম্পিউটার ফল প্রদান করে। অর্থাৎ কম্পিউটারের কাজ করার ধাপ হচ্ছে ৩টি। যথা: 

(i) ব্যবহারকারীর দেওয়া তথ্য উপাত্ত ও নির্দেশ গ্রহণ করা (Input), 

(ii) তথ্যের প্রক্রিয়াকরণ করা (Processing) এবং প্রকাশ করা (Output)

(iii) প্রক্রিয়াজাত তথ্য প্রদান বা প্রকাশ করা (Output)



কম্পিউটার কাজকে নিন্মোক্ত চিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করা যায়:-          

কম্পিউটার কি?

কম্পিউটারের সীমাবদ্ধতা :

কম্পিউটারের অনেক গুণাবলির মধ্যেও কিছু কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে । কম্পিউটারের প্রধান প্রধান কিছু সীমাবদ্ধতা নিম্নে দেওয়া হলো :

  1. কম্পিউটারের নিজস্ব কোনো চিন্তাশক্তি নেই। এজন্য কম্পিউটার নিজের থেকে কোনো সমস্যা সমাধান করতে পারে না।
  2. কম্পিউটার তার স্মৃতিতে সংরক্ষিত প্রোগ্রাম দ্বারা পরিচালিত হয় কিন্তু মানুষ তার নিজস্ব চিন্তাশক্তি দ্বারা পরিচালিত হয় ।
  3. কম্পিউটার মানুষের নির্দেশ দ্বারা চালিত হয়। কম্পিউটার নিজের থেকে চলতে পারে না ।
  4.  কম্পিউটার কাজের সময় নিজের থেকে দিক পরিবর্তন করতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না তাকে দিক পরিবর্তনের নির্দেশ দেয়া হয় ।

  5.  কম্পিউটারের কাজের গতির সীমাদ্ধতা রয়েছে। কম্পিউটারের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য গবেষণা চলছে। 

1 Comments

Previous Post Next Post