স্লথ ভাইরাস কি?
Table of Contents
লাতিন আমেরিকায় প্রাণঘাতি হয়ে উঠছে স্লথ ভাইরাস। বিশেষ প্রজাতির পোকা ও মশার কামড়ে এটি মানব শরীরে ছড়াচ্ছে। চলতি বছর স্লথ ভাইরাসে ব্রাজিল, বলিভিয়া ও পেরু'সহ কয়েকটি দেশে শণাক্ত হয়েছে ৮ হাজারের বেশি রোগী। ভ্যাক্সিন না থাকায় বাড়ছে হুমকি।
মহামারী আতঙ্কে দিন কাটছে বিশ্ববাসীর। দক্ষিণ আফ্রিকার এমপক্স, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রিপল ই ভাইরাসের পর এবার আলোচনা হচ্ছে রহস্যময়ী স্লথ ভাইরাস নিয়ে।
পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যামাজন বেসিনে ছিল স্লথ ভাইরাসের বিস্তার। তবে ২০২৩ সাল থেকে রূপ পাল্টেছে স্লথ ভাইরাস। জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে হয়ে উঠেছে আরো শক্তিশালী। অ্যামাজন বেসিনের গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়েছে নতুন নতুন এলাকায়।
চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ৮০০০ এর বেশি স্লথ ভাইরাস আক্রান্তের রেকর্ড করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে এবার স্লথ ভাইরাস পৌঁছেছে লাতিন আমেরিকায় কিউবা,ব্রাজিল, কলম্বিয়া সহ ভাইরাসটি ছড়িয়েছে পেরু ও বলিভিয়াতেও। স্লথ ভাইরাসে আক্রান্ত দুই ব্রাজিলিয়ানের মৃত্যুর মাধ্যমে ভাইরাসের নামের আগে যোগ হয়েছে প্রাণঘাতী বিশেষণটি। শুধু তাই নয় ব্রাজিলের দুই গর্ভবতী মায়ের দেহে স্লথ ভাইরাস সনাক্ত হওয়ায় গর্ভেই মারা গেছে তাদের সন্তান। কিউবার ১৫ টি প্রদেশে দেখা দিয়েছে স্লথ ভাইরাস। খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে এটি। পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে।স্লথ ভাইরাসের কীভাবে ছোড়ায়ঃ
প্রধানত
কিউলেক্স প্যারাইনেসিস প্রজাতির পোকার কামড়ে ছড়ায় স্লথ ভাইরাস। এ ছাড়া
কিউলেক্স কুইন কুয়েনিয়াম ওল্করোটেটা সেরাইটিস প্রজাতির মশার কামড়ে মানুষের দেহে
সংক্রমিত হয় স্লথ ভাইরাস।
বাঁদর,বানর
ও স্লথও বহন করতে পারে এই রোগের জীবাণু। তবে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না এই ভাইরাসটি। ডেঙ্গু, চিকনগনিয়া, জিকা ভাইরাস কিংবা
ম্যালেরিয়া রোগের উপসর্গের সাথে মিল রয়েছে স্লথ ভাইরাসের উপসর্গের।
স্লথ ভাইরাসের লক্ষণঃ
স্লথ ভাইরাসের লক্ষণ হিসেবে দেখা যায় মাংসপেশিতে ব্যথা, তীব্র মাথার যন্ত্রণা, বমি ইত্যাদি উপসর্গ।
স্লথ ভাইরাসের ভ্যাকসিনঃ
স্লথ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দরকার ভ্যাকসিন। তবে এখনো এই রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কোন ভ্যাকসিন বাজারে নেই।
গবেষকরা বলছেন ভাইরাসটি নিয়ে আরো বিস্তর গবেষণারও প্রয়োজন।
দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি করতে না পারলে বাড়বে মৃত্যুর সংখ্যা।