নেতানিয়াহুর ঘরে আগুণ,এখন কি করবেন?


‘ইসরাইলের কসাই’ হিসেবে কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নির্বিচারে হত্যা করে চলেছেন হাজার হাজার নিরাপরাধ ফিলিস্তিন নারী-পুরুষকে। এখন পর্যন্ত থামার কোন লক্ষ্য নেই এই কসাইয়ের। তবে বিপদে পড়ে ইসরায়েলিদের কাছে ক্ষমা চাইতে হলো তাকে। দুঃসময় যেন ধীরে ধীরে ঘিরে ধরেছে এই নেতাকে। যে কোন সময় আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে পারে নেতানিয়াহু।
 

গাজায় চলমান যুদ্ধের চেয়ে নিজের দেশেই এখন অনেকটাই অবাঞ্ছিত হয়ে পড়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী।  গেল সপ্তাহে গাঁজা থেকে ৬ জন ইসরাইলি বন্ধির মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। এর পরেই নেতানিয়াহু বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে ইসরায়িল জুড়ে। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে দিয়ে খালি কফিন নিয়ে মিছিল করছে এবং পদত্যাগ দাবী করেছেন সাধারণ ইসরায়েলিরা।


গেল বছরের অক্টোবরে ইসরাইলের ভূখণ্ডে আকর্ষিত আক্রমণের পর প্রায় দু'শো মানুষকে জিম্মি করে হামাস। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এসব জিম্মির কোন ক্ষতি করেনি এ সংগঠনটি। এমনকি ফেরত আসা এক ইজরাইলি জিম্মি জানিয়েছেন এক মাসেও কোনদিন জিম্মিদের গায়ে হাত তোলেনি হামাস যোদ্ধারা।

একজনে বেঁচে ফেরা বন্ধি জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত সুরঙ্গ পথে যেসব জিম্মির মৃত্যু হয়েছে তাদের বেশিরভাগই ইসরাইলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।  তবে চলতি সপ্তাহে উদ্ধার হওয়ার ৬ জিম্মির প্রাণ গেছে হামাসের হাতে। ইসরাইলি বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে এসব জিম্মিকে হত্যা করে তারা।


আর এতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ক্ষেপেছেন ইসরাইলিরা। তাদের দাবি চাইলেই এসব জিমিকে বাঁচাতে পারতেন নেতানিয়াহু।  জনগণের এই তীব্র আন্দোলিন যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে আসতে নেতানিয়াহু সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। পাশাপাশি সাধারণ ইজরাইলিদের ক্ষোভের মুখে মিত্ররা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অনুযোগের সুর কথা বলছেন।মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের আনা প্রস্তাবের পক্ষে নেতানিয়াহুর তেমন আগ্রহ দেখছেন না।


তবে সব চাপ উপেক্ষা করে যে কোনো মূল্যে ক্ষমতা ধরে রাখাই এখন নেতানিয়াহুর প্রধান উদ্দেশ্য বলে মনে হচ্ছে। জিম্মি মৃত্যুর ঘটনায় দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেও পিছু হটার কোনো ইঙ্গিত দেননি তিনি।

  

হামাসের পক্ষ থেকে গাজা মিসর করিডর থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার দাবি জানানো হলেও তা নাকচ করে দেন নেতানিয়াহু। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন জিম্মি হত্যার কঠোর জবাব দেয়া হবে হামাসকে। তবে নেতানিয়াহুর সব প্রতিশ্রুতি মিথ্যা বলে সাথে সাথে তার বার্তা নাকচ করে দেন জিম্মিদের স্বজনরা। এদিকে হামাস জানিয়েছে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হলে কফিনে করেই ঘরে ফিরতে হবে আটক থাকা বন্ধিদের। 

Post a Comment

Previous Post Next Post