ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ভারত। তীব্র গতিতে ঢুকছে নদীর পানি। এরই মধ্যে তলিয়েছে বিস্তীর্ণ রাস্তাঘাট ডুবেছে বাড়িঘর।
বিগত ৫০ বছরে এমন প্রলয়ঙ্কারী বন্যা দেখেনি দক্ষিণ ভারতের দুই রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা।
কর্তৃপক্ষ বলছে গেল দু দিন ধরে চলা ভারী বৃষ্টিতে
বেড়েছে রাজ্য দুটির বিভিন্ন নদ নদীর পানি।
বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে অন্ধপ্রদেশের কৃষ্ণ ও তেলেঙ্গানা
মুন্নিরি নদীর পানি। ভেঙেছে একাধিক বাঁধ আর পানির তরে ভেসেছে গ্রামের পর গ্রাম।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা তেলেঙ্গানার খাম্মাম আর অন্ধপ্রদেশের বিজয়ওগাড়া
অঞ্চলের। পানি বেড়ে যাওয়ায় খুলে দেওয়া হয় অন্ধপ্রদেশের প্র্যাগাসাম বাঁধ, যা
দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ১১ লাখ কিউসেক পানি। ফলে
তলিয়ে যায় রাজ্যের দ্বিতীয় বড় শহর বিজয়ওগাড়া।
একই চিত্র তেলেঙ্গানায়। পালাইয়ের বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত
হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হইয়েছে রেললাইন। যার ফলে শতাধিক ট্রেনের সিডিউল বাতিল করে কর্তৃপক্ষ।
পানির তোড়ে রেল লাইনের অন্তত ৫ জায়গা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রেলের একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখন পানির প্রবাহ
নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। বাঁধ সংস্কার করা হচ্ছে, এটা করতে করতে একদিন পার হয়ে যাবে।
এমতাবস্থায় দূরপাল্লার কিছু ট্রেনের সিডিউল বাতিল করেছি, কয়েকটি ড্রাইভার্টও করা
হয়েছে।
এদিকে বন্যার পানি বাড়তে থাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে
তেলেঙ্গানার আবিলাবাদ নিজামাবাদ সহ অন্ধ্রপ্রদেশের কয়েকটি স্থানে। বন্ধ ঘোষণা করা
হয়েছে হায়দ্রাবাদের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
২৪ ঘন্টা পেরোলেও কোন কোন স্থানে নেই বিদ্যুতের দেখা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন
মুখ্যমন্ত্রী সি বি নাইডু।
চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে এ পর্যন্ত ৮৫০ কোটি রুপির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ আর ক্ষতিগ্রস্ত দুই রাজ্যের কমপক্ষে ৩ লাখ বাসিন্দা ঘর ছাড়া
২০ হাজারের মতো নাগরিক। এর আগে গুজরাট দিল্লি
সহ ভারতের উত্তরাঞ্চলেও বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা
দেখা দেয়।