ইরানের শহীদ বাঘেরিকে দেখে যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ে কাপুনি- জানুন সেই ঘটনা

শহীদ বাঘেরি

শক্তিশালী নৌবাহিনী ছাড়া পারস্য উপসাগরে পশ্চিমা নৌশক্তিকে মোকাবেলা করা অসম্ভব এটা ইরানের জানা আছে। এসব মাথায় দেশটির ইসলামী বিপ্লবী গার্ডকোর বাণিজ্যিক কন্টেইনার জাহাজকে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে রূপান্তরিত করেছে। যুদ্ধ জাহাজটির নাম দেওয়া হয়েছে শহীদ বাঘেরি। ক্যারিয়ারটির কিছু ছবি গত সপ্তাহে অনলাইনে ছড়িয়েছে।

সেগুলো থেকে বিমানবাহিনী রণতৈরী তৈরিতে ইরানের অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। শহীদ বাঘেরিকে মার্কিন নৌবাহিনীর নিমিৎজ- ক্লাশ এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের সাথে তুলনা করার চেষ্টা চলছে। তবে ইরান কোন তুলনায় যায়নি।

শহীদ বাঘেরি

দেশটির সাফল্য অন্য জায়গায় প্রথমত বাণিজ্যিক কন্টেইনার জাহাজ থেকে দেশটি অল্প সময়ে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার বানিয়েছে। এ ধরনের যুদ্ধজাহাজ বানাতে যেখানে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয়,সেখানে অনেক অর্থ সাশ্রয় করেছে ইরান।  এখন এটি ইরানের নিজস্ব উৎপাদিত মনুষ্যবিহীন বিমান ব্যবস্থা চালু করতে ব্যবহার করা হবে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান সম্প্রতি বছরগুলোতে তাদের ড্রোন শিল্পে অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে। সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া ছবিগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে যে শহীদ বাঘেরির একটি প্রায় সম্পূর্ণ অ্যাঙ্গেল ফ্লাইট ডেক রয়েছে। রয়েল নেভির কুইন এলিজাবেথ ক্লাশ ক্যারিয়ার এবং রাশিয়ার ফ্ল্যাগশিপ ফ্ল্যাট টপ অ্যাডমিরাল কোচনেটস এর মতো শহীদ বাঘেরির ফ্লাইট ডেকের সাথেও একটি স্কি জাম্প র‍্যাম্প রয়েছে।

শহীদ বাঘেরি

শহীদ বাঘেরির রূপান্তরের সময় মুল জাহাজের আসল সুপার স্ট্রাকচারটি বদলানো হয়নি তাই প্রচলিত ফ্লাট টপ কনফিগারেশন না করে তার পরিবর্তে একটি অ্যাঙ্গেল ফ্লাইট ডেক প্রয়োজনীয় রানওয়ের দৈর্ঘ্য সৃষ্টি করেছে। এটি সম্ভবত লঞ্চিং এবং ল্যান্ডিং এর জন্য করা হয়েছে। বো র‍্যাম্প পর্যন্ত প্রসারিত অ্যাঙ্গেল ডেক যোগ করার মাধ্যমে জাহাজটির বামদিকে একটি ওভারহ্যাং বা ফ্লেয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।

ড্রোন অপারেশনের জন্য এখন একটি দ্বিতীয় কন্টেইনার জাহাজকে ফরোয়ার্ড বেস শিপে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করছে ইরান। এমন যুদ্ধজাহাজ ইরানের দুর্দান্ত সামরিক অগ্রগতিকে তুলে ধরে তবে দেশটি এত বড় জাহাজের ব্যবহার সম্ভবত এখনই করবে না। যদিও শহীদ বাঘেরিকে শক্তি প্রদর্শনের জন্য কিছু দূরবর্তী বন্দরে মিশনে পাঠানো যেতে পারে। তবে তার জন্য আগে এয়ার ক্যারিয়ারটি জন্য অ্যাস্কোর্ট লাগবে।

শহীদ বাঘেরি

যেসব দেশের এমন ক্যারিয়ার শিপ আছে সেসব দেশের বিমানবাহী রণতরী অ্যাস্কোর্ট ছাড়া যাত্রা করে না। ইরানের ফ্রিগেড বা ড্রেস্ট্রয়ারের মত আধুনিক সারফেস কম্বাট জাহাজের অভাব আছে ফলে শত্রু  পক্ষের বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার প্রচন্ড ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো যেসব দেশের নৌবাহিনীতে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার আছে সেগুলোর সুরক্ষায় ড্রেস্ট্রয়ার থাকে সেসব জাহাজ কয়েক স্তরযুক্ত আকাশ প্রতিরক্ষা দিয়ে সুরক্ষা দেয় হয়তো অচিরেই ইরান সেই সক্ষমতাও অর্জন করবে।

 

 

 

Post a Comment

Previous Post Next Post