রাশিয়ার ভৌতিক আক্রমণ, পালাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা

 

Russia- Ukraine War

রুশ সেনাবাহিনীর ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলের দুটি বড় অভিযান চালিয়েছে।  রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে তাদের বাহিনী চেনে চাইনা অবস্থিত ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর ব্যাটালিয়ন ধ্বংস করেছে এবং সুমির নাইজনিয়া ছিরভাটকায় একটি অস্ত্র গুদামে উড়িয়ে দিয়েছে।  

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য তার প্রধান এফ-সিক্সটিন সমর্থন পরিকল্পনা ত্যাগ করেছে।  প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমান গুলোর পরিষেবা দেয়ার জন্য ইউক্রেইনে আমেরিকান কর্মীদের মোতায়েন করতে অনিচ্ছুক।  যা ইউক্রেনের জন্য চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠ সৃষ্ঠি করেছে।

Russia- Ukraine War

ইউক্রেনে পশ্চিমা সামরিক সহায়তাকে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে রাশিয়া।  দেশটির বার্তা সংস্থা তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর থেকে মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি রুশ বাহিনীর অগ্রগতি ঠেকাতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো ক্রমাগত সামরিক সহায়তা ও অস্ত্র দিয়ে আসছে এবং এ প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে।

পুরস্ক আক্রমণের সম্পূর্ণ ব্যর্থতার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোডিমির জেলেনস্কি তার নিজের সেনা, আইন প্রণেতা এবং এমনকি বিশেষজ্ঞদের সমালোচনার সম্মুখীন। 

Russia- Ukraine War

ফিনান্সিয়াল টাইমস এর একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে বিপত্তি এবং রাশিয়ার ক্রমাগত লাভ জেলেনস্কি এবং তার বাহিনীর মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করেছে।  ইউক্রেনীয় গনমাধ্যমের প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হচ্ছে যেরাশিয়া শীঘ্রই প্রবক্স অঞ্চল দখল করতে পারে যা হবে ইউক্রেনের সামরিক সরবরাহের জন্য মারাত্মক আঘাত।  

ইউক্রেনের আরো তিনটি গ্রাম দখলে নেয়ার দাবি করেছে রাশিয়া।  রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তারা ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লৌহানো ও খাটিক অঞ্চলে এই তিন গ্রাম দখল করেছে।  ইউক্রেন রাশিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্ক অঞ্চলে অভিযান শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর এই গ্রামগুলো দখলের ঘোষণা দিলো মস্কো।

Russia- Ukraine War

রাশিয়া ইউক্রেন সংঘাতে গত তিন সপ্তাহে ইউক্রেনের সেনারা পুরস্ক অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।  ইউক্রেনের সেনাপ্রধান আলেক্সান্দর সিরস্কির দাবি অনুযায়ী, ইউক্রেন রাশিয়ার পুরস্ক অঞ্চলে প্রায় 1300 বর্গকিলোমিটার বা ৫০০ বর্গমাইল এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এছাড়া ওই অঞ্চলে অন্তত 100 টি রুশ স্থাপনা দখল করা হয়েছে এবং 594 জনকে রুশ সেনাকে আটক করা হয়েছে।

উত্তপ্ত রাশিয়া ইউক্রেন ফ্রন্ট লাইন

রাশিয়ার বিভিন্ন টার্গেটে রাতভর ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। বিস্ফোরণে আগুন ধরা যায় বিদ্যুৎ স্থাপনা ও একটি তেল শোধনাগারে।  রাজধানী মস্কোতেই ছোড়া হয় ১১ টি ড্রোন। এছাড়া কুরস্ক, ব্রায়নাস্, ভেরন ও ভেলগরদ  সহ ১৫ টি রুশ অঞ্চলে হয়েছে হামলা।

অবশ্য  ইউক্রেনের  ছোড়া ১৭১ টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার।  কিছুক্ষণের মধ্যেই হামলার জবাব দেয় মস্কো।  ব্যাপক বোমাবর্ষণের ফলে খারকিডে আহত হয় কমপক্ষে ৪১ জন ইউক্রেনীয় সেনা।  ব্যালেস্টিক বোমার বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায় একটি সুপার মার্কেটে।  

গত সপ্তাহে ইউক্রেন জানিয়েছিল রাশিয়ার কুরস্কে 1294 বর্গ কিলোমিটার এলাকা এখন তাদের দখলে।  ৬০০ রুশ সেনা আটক এর দাবিও করেছে তারা।  তবে চলতি সপ্তাহে অঞ্চলটিতে তেমন অগ্রসর হতে পারেনি জেলেনস্কি বাহিনী বরং প্রায় প্রতিদিনই দোনেৎস্কের নতুন নতুন এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে রাশিয়া।  কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ পক্রোফক্স দখলের পথে বলে দাবি মস্কোর। 

এটিকে 2022 সালের ফেব্রুয়ারীতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আক্রমণের পর থেকে রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনীয় সেনাদের সবচেয়ে গভীর এবং উল্লেখযোগ্য অনুপ্রবেশ হিসেবে মনে করা হয়।  পুরস্কের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর আলিস্কি স্কিলম জবস জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলের 28 টি গ্রাম বর্তমানে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

Post a Comment

Previous Post Next Post