ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে এমপক্স। সংক্রামক জনিত রোগটি আফ্রিকা মহাদেশ ছাপিয়ে এশিয়া ও ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়েছে। ক্রমেই বেড়ে চলেছে প্রাণহানির সংখ্যা। এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO ।
নতুন এক মহামারির আশঙ্কায় বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক, উচ্চ সংক্রামক এমপক্স নামের এই ভাইরাস প্রথমে কঙ্গোতে সনাক্ত হলেও দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে আফ্রিকার আরো ১৩ টি দেশে। তবে এখানেই শেষ না। ভয়াবহতার জানান দিতে এবার আফ্রিকার গণ্ডি পেরিয়ে প্রবেশ করেছে ইউরোপে। অন্তত তিনজন এমপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে পাকিস্তানেও।
পশুর থেকে মানকি পক্স মানুষে সংক্রমিত হলেও এখন এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে। এরই মাঝে এমপক্স এ আক্রান্ত হয়ে কঙ্গোতে মারা গেছে অন্তত সাড়ে চারশ মানুষ। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO।
ডাবলু এইচ ও এর মহাপরিচালক বলেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ ব্যাখ্যা করতে তিনি বলেন আফ্রিকা মহাদেশ ছাড়াও এমপক্সে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে এশিয়া ও ইউরোপে। এজন্য আমরা জরুরী স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এমপক্সের ২টি প্রধান ধরনের যার একটি কেলেট ওয়ান এবং অন্যটি কেলেট টু যা ইতোমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাণহানির দিক থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ এমপক্স কেলেট ওয়ান।
তবে বিপত্তি ঘটে এম পক্সের রূপ বদল হলে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন ভেরিয়েন্ট কেলেট ওয়ান বি শনাক্ত হয়, এরপর থেকেই বেড়েছে সংক্রমনের হার।
এমপক্সে কিভাবে ছড়াই?
চলতি বছরের শুরু থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং পশুর সংস্পর্শে ছড়িয়ে পড়ছে রোগের ভাইরাস।
এমপক্স রোগের লক্ষণ
প্রাথমিক লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর ,মাথা ব্যথা, পিঠ এবং কোমরের পেশীতে যন্ত্রণা, এছাড়া শরীরে দেখা দেয় ফুসকুড়ি।
এর আগে ২০২২ সালে এমপক্স ভাইরাসের কারণে জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করতে হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে সমকামিতা এবং অবৈধ শারীরিক সম্পর্ককে দায়ী করা হচ্ছে।
এমপক্সে নিয়ে নিয়মিত আপডেট পাবেন এখানে।