মমতার পদত্যাগ? এক দফা দাবিতে অনড় বিজেপি ও শিক্ষার্থীরা

মমতার পদত্যাগ


উত্তাল গোটা পশ্চিমবঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী মমতার পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে অনড় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির সমর্থকেরা।
 

আরজিকর মেডিকেলের তিলোত্তমা নামের একজন চিকিৎসককে ধর্ষণ ও ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার প্রতিবাদে আহুতি সমাবেশে হামলার জেরে বুধবার পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ কর্মসূচি পালন করেছে রাজ্য বিজেপি। 


মমতার পদত্যাগ

মমতার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে ধর পাকড়, হামলা ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে রাজপথে পুলিশের আাকশন নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে চলছে তুমুল সমালোচনা। 

বিজেপির  দাবি রাজ্যের প্রধান বিরোধ দল হয়ে আন্দোলন করাটা তাদের রাজনৈতিক ও নৈতিক  অধিকার। কিন্তু মূখমন্ত্রী প্রশাসন দিয়ে শিক্ষার্থী ও  রাজনৈতিক দলের আন্দোলন দমাতে চাইছেন। 


মমতার পদত্যাগ
এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়  বলেন, " আমরা কি করেছি? ধর্ষণ ও হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকার কি আমাদের নাই? তিনি দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর  পদ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  পদত্যাগ দাবি করেন।"

আরজিকর কান্ডে গত কিছু দিনের আন্দোলন  বর্তমানে রুপ নিয়েছে এক দফায়। আর এক দফা দাবি হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতার  পদত্যাগ। কলকাতা ছাপিয়ে বর্তমানে এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়। বিরোধীদের মতে মুখ্যমন্ত্রীর  পদত্যাগ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। 

এদিকে গুঞ্জন ছড়িয়েছে মমতার পরিণতি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো ততে যাচ্ছে। গেল কয়েক দিনের এসব কথা  নিয়ে এবার প্রকাশ্যে ক্ষোভ ঝাড়লেন  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তিনি হুংকার দিয়ে বলেছেন, এই পরিস্থিতির  সুযোগ নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতেছেন মেতেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মমতার পদত্যাগ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুব কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এক জনসভায় বলেন, “কেউ কেউ মনে করছেন  এটা বাংলাদেশ।  আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি।  ওরা আমাদের মতো কথা বলে। ওদের সংস্কৃতি আমাদের সংস্কৃতি এক।  কিন্তু বাংলাদেশ একটা আলাদা রাষ্ট্র,  ভারতবর্ষ একটা আলাদা রাষ্ট্র। মোদি বাবু  আপনার পার্টিকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন।  মনে রাখবেন বাংলায় যদি আগুন লাগান,  আসামেও আগুন লাগবে, উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সেভেন সিষ্টারেও আগুন লাগবে।  আর দিল্লিতে আপনার  চেয়ার আমরা উচ্ছেদ করে দিব।"

তৃণমূল পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের এক ভাষণে গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলকে লক্ষ্য করে তিনি এ বক্তব্য দেন।

তিনি বক্তব্যে আরোও বলেন, “এখনো ধৈর্য ধরছি ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে আমি কতটা ভয়ংকর হতে পারি সেটা শিলিগুড়ি কাণ্ডে দেখেছেন।”

গত পাঁচ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দিল্লিতে আশ্রয় নিন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরে মমতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের আন্দোলন শুরু হয়েছে এই পরিস্থিতিতে বিজেপির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না হয়ে কাজে যোগ দিতে চিকিৎসকদের অনুরোধ করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

Post a Comment

Previous Post Next Post