বেলুচিস্তান
কি তবে বাংলাদেশের মতো স্বাধীন হতে যাচ্ছে?
গেল কয়েক
দিন ধরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশ। বেলুচিস্তান প্রদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে প্রদেশটির
বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। সর্বশেষ রোববার রাতে প্রদেশটির বিভিন্ন থানায় এবং রাজধানী কোয়েটা
সহ অন্যান্য শহরে বিস্ফোরণ ও গ্রেনেড হামলা চালায় স্বাধীনতাকামীরা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
এদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত হন ৭০ জনেরও বেশি মানুষ। এ হামলাকে অসহনীয় হিসেবে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহাসিন নথফি। পাশাপাশি তিনি বলেন খুব শীঘ্রই এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের তিক্ততা ভুলে খারাপ সময়ে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম X এ পোস্টে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সহয়তা কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো।
এছাড়াও
এ হামলা নিয়ে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের বন্ধু রাষ্ট্র চীন। পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট চীনের সঙ্গে ইসলামাবাদের বন্ধুত্বপূর্ণ
সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছে বেইজিং। সোমবার নিয়মিত
ব্রিফিংয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাউল ইজিয়ান একথা বলেন।
অন্যদিকে
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে পাকিস্তানের
আকাশ বাতাস।
বিশ্লেষকরা
বলছেন সাম্প্রতিক হামলা গুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী
গোষ্ঠীগুলো হামলার পরিধি বাড়িয়েছে এবং তাদের সাহসিকতা এবং আক্রমণের ক্ষেত্র পরিবর্তন
করেছে।
বিভিন্ন
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বরাতে জানা যায় ২০২৩ আদমশুমারি অনুসারে পাকিস্তানের ২৪০ মিলিয়ন
নাগরিকদের মধ্যে প্রায় ১৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ এ প্রদেশটিতে বসবাস করেন। তেল, কয়ল,
সোনা,তামা এবং গ্যাসের বিশাল মজুদ সহ প্রাকৃতিক সম্পদ থাকা সত্ত্বেও দেশের সবচেয়ে
দরিদ্র অঞল হিসেবে পরিচিত বেলুচিস্তান।