মাগাজির পরিচয় দাও। মুসলিম ইতিহাসতত্ত্ব বিকাশে মাগাজি সাহিত্যের অবদান লেখ।

 

মাগাজির পরিচয় দাও। মুসলিম ইতিহাসতত্ত্ব বিকাশে মাগাজি সাহিত্যের অবদান লেখ।


মাগাজির পরিচয় দাও। মুসলিম ইতিহাসতত্ত্ব বিকাশে মাগাজি সাহিত্যের অবদান লেখ।

মাগাজি মুসলিম ইতিহাস চর্চার বিকাশে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। মাগাজি বলতে সাধারণত যুদ্ধবিগ্রহকে বুঝানো হলেও মুসলিম ইতিহাস চর্চায় মাগাজি বলতে মহানবি (সা.) এর সামরিক অভিযানসমূহকে বুঝানো হয়। মুসলিম ইতিহাস চর্চার উদ্ভব ঘটে মহানবি হযরত মুহম্মদ (সা.) এর আগমনের পর এবং পবিত্র কুরআন নাজিলের মধ্য দিয়ে। মুসলিম ইতিহাস চর্চার প্রারম্ভিক পর্যায় ছিল মাগাজি সাহিত্যের দখলে। এ মাগাজি সাহিত্যের ওপর নির্ভর করেই পরবর্তীতে মহানবি (সা.) এর সিরাহ এবং আঞ্চলিক ও বিশ্ব ইতিহাস রচিত হয়। তাই আমরা বলতে পারি মুসলিম ইতিহাস তত্ত্বের বিকাশে মাগাজি সাহিত্যের অবদান অপরিসীম ।

মাগাজির পরিচয় : নিম্নে মাগাজির পরিচয় আলোচনা করা হলো :

১. শাব্দিক পরিচিতি : 

মাগাজি একটি আরবি ভাষার শব্দ । এটি গযওয়া শব্দ হতে উৎপত্তি ঘটেছে। এর বহুবচন হলো মাগযা। এর শাব্দিক অর্থ হলো : ১. সামরিক অভিযান, ২. যুদ্ধবিগ্রহ, ৩. লুটতরাজ, ৪. আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণ ইত্যাদি ।

২. পারিভাষিক পরিচয় : 

মাগাজি বলতে সাধারণত যুদ্ধবিগ্রহকে বুঝানো হয়। এখানে একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে, প্রাক-ইসলামি যুগ ও ইসলামি যুগের মাগাজির পরিচয় সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম। প্রাক-ইসলামি আরবে মাগাজি বলতে রাত্রিকালীন লুটতরাজকে বুঝানো হতো। আর ইসলামি যুগে মাগাজি বলতে মহানবি (সা.) এর সামরিক অভিযানসমূহকে বুঝানো হয়। আরও পরিষ্কারভাবে বললে, মদিনার হিজরতের পর মহানবি (সা.) যেসব সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছেন তাকে মাগাজি বলা হয় । মাগাজি সরিয়াহ ও গাযাওয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে। যেসব সামরিক অভিযানে মহানবি (সা.) নিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেগুলো গাযওয়া নামে পরিচিত। আর যেসব অভিযানে মহানবি (সা.) সরাসরি অংশগ্রহণ না করে অন্য সাহাবিকে নেতৃত্ব দিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছেন সেগুলো সরিয়াহ বলে । আর গাযওয়া ও সরিয়াহর সমন্বিত রূপ হলো মাগাজি ।

৩. গুরুত্ব : 

মুসলিম ইতিহাস চর্চার ইতিহাসে মাগাজির গুরুত্ব অপরিসীম। মাগাজিকে কেন্দ্র করেই মহানবি (সা.) এর সিরাহ রচনা আরম্ভ হয় । আর সিরাহ রচনার মধ্য দিয়ে মুসলিম ইতিহাস চর্চার ব্যাপক বিকাশ ঘটে ।


৪. বিখ্যাত মাগাজি রচয়িতা : বিখ্যাত কয়েকজন মাগাজি রচয়িতা হলেন

ক. আবান বিন ওসমান,

খ. উরওয়া বিন দুবাইর বিন আওয়াম,

গ. ওয়াহাব বিন মুনাব্বিহ,

ঘ. আব্দুল্লাহ বিন আবু বকর ও

ঙ. মুহম্মদ বিন শিহাব আল যুহরি প্রমুখ।


৫. মাগাজির বৈশিষ্ট্য : নিম্নে প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করা হলো :


ক. মুসলিম ইতিহাস চর্চার প্রাথমিক উৎস :

 মাগাজির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো মুসলিম ইতিহাস চর্চার প্রাথমিক উৎস। মাগাজি ছিল মুসলিম ইতিহাস চর্চার প্রারম্ভিক পর্ব। ইতিপূর্বে মুসলিম ইতিহাস চর্চা বলতে কিছুই ছিল না। মাগাজিকে কেন্দ্রে করেই মুসলিম ইতিহাস চর্চার ভিত্তি গড়ে ওঠে। তাই মাগাজিকে বলা হয় মুসলিম ইতিহাস চর্চার প্রাথমিক উৎস।

খ. সিরাহ এর পরিপূরক : 

মাগাজি ছিল সিরাহ এর পরিপূরক। এটি সিরাহ সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মাগাজিতে যুদ্ধবিগ্রহ এবং সামরিক অভিযানের আলোচনার পাশাপাশি মহানবি (সা.) এর সার্বিক জীবনের অনেক বিষয়ে আলোচিত হয়েছে। যা বস্তুত সিরাহ এর অন্তর্ভুক্ত। তাই বলা যায় যে, মাগাজি সিরাহ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস বা শাখা।

গ. কুরআন ও হাদিসের বর্ণনা : 

মাগাজি সাহিত্যে কুরআন ও হাদিসের অনেক বর্ণনা স্থান পেয়েছে। কেননা পবিত্র কুরআনের অনেক অংশে মহানবি (সা.) এর যুদ্ধসমূহ আলোচনা করা হয়েছে। আবার অনেক হাদিসে ও মহানবি (সা.) এর যুদ্ধের বিবরণসমূহ স্থান পেয়েছে। তাই বলা যায় যে, মাগাজি সাহিত্যে কুরআন ও হাদিসের বর্ণনা স্থান পেয়েছে

 ঘ. বিষয়বস্তুর বিবরণ :

 মাগাজি সাহিত্য বিষয়বস্তু তথা যুদ্ধ বা সামরিক অভিযানের সন, তারিখ, সময় ও স্থানের নিখুঁত বিবরণ রয়েছে। এসব বিবরণ মাগাজি সাহিত্যকে শ্রেষ্ঠ করে তুলেছে।


মুসলিম ইতিহাসতত্ত্বের বিকাশে মাগাজি সাহিত্যের গুরুত্ব : নিম্নে মুসলিম ইতিহাসতত্ত্বের বিকাশে মাগাজি সাহিত্যের গুরুত্ব আলোচনা করা হলো :

১. মুসলিম ইতিহাস চর্চার সূচনা : 

মুসলিম ইতিহাস চর্চার সূচনা হয়েছে মাগাজি সাহিত্যকে কেন্দ্র করে । মাগাজি সাহিত্যে মুসলিম ইতিহাস চর্চার প্রয়োজনীয় উপাদান সন্নিবেশিত ছিল। বস্তুত ইসলামের প্রাথমিক যুগের যুদ্ধবিগ্রহের ওপর ভিত্তি করেই মুসলিম ইতিহাস চর্চা গড়ে ওঠে

২. ইতিহাসের উপাদান সরবরাহ : 

মাগাজি সাহিত্যসমূহ ছিল মুসলিম ইতিহাস চর্চার মূল আকর্ষণ। এগুলোর নানাবিধ বিবরণসমূহ পরবর্তীতে মুসলিম ইতিহাস চর্চায় ব্যাপক অবদান রাখে ।

৩. তথ্যের সন্নিবেশ : 

মাগাজি সাহিত্যসমূহে মহানবি (সা.) এর জীবনের সমস্ত যুদ্ধবিগ্রহের বিবরণ রয়েছে। মহানবি (সা.) নিজ হাতে ২৭টি যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। এছাড়া তিনি অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। এসব যুদ্ধের বিবরণসমূহ ছিল সিরাহ রচনার একমাত্র অবলম্বন ।


উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, মাগাজি সাহিত্য মুসলিম ইতিহাস চর্চার বিকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় । কেননা মহানবি (সা.) এর জীবনের একটি বিরাট অংশ জুড়ে ছিল সামরিক বিজয়াভিযান। এসব বিজয় অভিযানসমূহ বাদ দিয়ে সিরাহ রচনা সম্ভব নয়। সিরাহ রচনার জন্য মাগাজি অপরিহার্য। পরবর্তীতে মাগাজি অংশটি সিরাহ সাহিত্যের একটি অংশে পরিণত হয়ে এর সাথে একত্রিত হয়ে যায় । মাগাজি সাহিত্য রচনা করে অনেকে ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন । এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন আবান বিন ওসমান এবং উরওয়া বিন জুবাইর বিন আল আওয়াম। তবে মাগাজি সাহিত্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন শিহাব আল যুহরি ।


মাগাজি ইতিহাস লিখনে আল ওয়াকিদি ও ইবনে সাদের অবদান মূল্যায়ন কর।

ইতিহাস যেকোনো দেশ ও জাতির জন্য দর্পণস্বরূপ। অতীতের বিশেষ ঘটনার ধারাবাহিক বিবরণ হলো ইতিহাস । ইতিহাসের চর্চা প্রাচীনকাল থেকে চলে আসলেও মুসলিম ইতিহাস চর্চা আরম্ভ হয় মহানবি (সা.) এর আগমনের পর । ইতিপূর্বে মুসলমানরা ইতিহাস সচেতন ছিলেন না। মহানবি (সা.) এর আগমনের পর পবিত্র কুরআনের অবতরণ এবং হাদিস সংরক্ষণের মাধ্যমে মুসলিমরা ইতিহাস চর্চায় মনোনিবেশ করেন । প্রথমদিকে মুসলিমদের ইতিহাস চর্চার দুটি পর্যায় ছিল একটি হলো মাগাজি আর অন্যটি হলো সিরাহ। দুটিই মহানবি (সা.) এর জীবনীভিত্তিক ইতিহাস। মাগাজি মহানবি (সা.) এর সামরিক অভিযানসমূহকে গুরুত্বারোপ করে রচিত হয় ।


মাগাজি ইতিহাস লিখনে আল ওয়াকিদির অবদান : নিম্নে মাগাজি ইতিহাস লিখনে আল ওয়াকিদির অবদান আলোচনা করা হলো :

১. পরিচয় : 

আল ওয়াকিদি ৭৪৭ খ্রিস্টাব্দে তথা ৮৭ হিজরিতে মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন । তার মূল নাম হলো মুহম্মদ ইংরে ওমর আল ওয়াকিদি। তিনি আব্বাসি খিলাফতের প্রাথমিক পর্যায়ের খলিফাদের সাথে সংযুক্ত ছিলেন। ছাত্র হিসেবে ওয়াকিদি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি পবিত্র কুরআন মুখস্থ করেন। তিনি জ্ঞানার্জনের জন্য করা। কুফাসহ অনেক স্থানে পরিভ্রমণ করেন। তার পিতা ছিলেন তার জ্ঞানার্জনের একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক ।

শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর তিনি পিতার সাথে শস্য ব্যবসায়ে নিয়োজিত হন। তিনি শিয়াদের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। আব্বাসি খলিফা আল মাহদি তাকে প্রশাসনের উচ্চস্তরে নিয়োগ করেন। ফলে আব্বাসি প্রশাসন সম্পর্কে তিনি সম্যক ধারণা লাভ করেন। এটিকে কাজে লাগিয়ে তিনি ইতিহাস চর্চায় মনোনিবেশ করেন। অবশেষে ৮১৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

২. কিতাবুল মাগাজি রচনা : 

আল ওয়াজিদি একজন শ্রেষ্ঠ মাগাজি বিশারদ ছিলেন। তিনি মহানবি (সা.) এর যুদ্ধবিগ্রহ বা সামরিক অভিযানসমূহের ওপর বিশ্লেষণ করে একটি বিখ্যাত গ্রন্থ রচনা করেন যার নামকরণ করেন 'কিতাবুল মাগাজি । এ গ্রন্থে তিনি নানা বিশ্লেষণের পর তথ্য উপস্থাপন করেছেন। এ গ্রন্থে আল ওয়াকিদি মহানবি (সা.) এর বদরের যুদ্ধ, ওহুদের যুদ্ধ, খন্দকের যুদ্ধ, মুতার যুদ্ধ এবং তাবুক অভিযানসহ সকল সামরিক অভিযানের বিবরণ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি মহানবি (সা.) প্রশাসনিক বিষয়ের অনেক বিবরণও এখানে প্রদান করেছেন।


৩. রচনাশৈলী :

 আল ওয়াকিদি মহানবি (সা.) এর মাগাজি রচনার যেসব রচনাশৈলী অবলম্বন করেছেন তা হলো :

ক. তিনি সনদের যথাযথ প্রয়োগ করেন ।

খ. তিনি সঠিক কবিতা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন ।

গ. তিনি প্রত্যেকটি ঘটনার সঠিক সন তারিখ ব্যবহার করেছেন ।

ঘ. তিনি গোত্রীয় বর্ণনাসমূহ সংক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করেছেন ।

ঙ. সর্বোপরি যুদ্ধের স্থান পরিদর্শন করে সঠিক বিবরণ উপস্থাপন করেছেন ।


৪. মূল্যায়ন : 

আল ওয়াকিদি একজন শ্রেষ্ঠ মাগাজি বিশারদ ছিলেন । তিনি কিতাবুল মাগাজি রচনা করে ইতিহাসে খ্যাতি অর্জন করেছেন । তিনি কিতাবুল মাগাজি রচনায় যথেষ্ট পারদর্শিতা প্রদর্শন করলেও তার গ্রন্থটি সমালোচনার উর্ধ্বে ছিল না । নিম্নে এর কয়েকটি সমালোচনা উল্লেখ করা হলো :

ক. ইমাম মাহযায়ির মতে, আল ওয়াকিদির তথ্য পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য নয় । কেননা তিনি অমুসলিমদের নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন।

খ. ঐতিহাসিক খোদাবক্স আল ওয়াকিদির রচনাশৈলীর ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। তার মতে, আল ওয়াকিদি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে তার গ্রন্থটি রচনা করেছেন ।

গ. অধ্যাপক দূরীর মতে, আল ওয়াকিদির তথ্যাবলি বিশ্বাসযোগ্য। তিনি মাগাজি রচনার যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন তাতে কোনো ধরনের সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই।


মাগাজি ইতিহাস লিখনে ইবন সাদের অবদান : নিম্নে মাগাজি ইতিহাস লেখক হিসেবে ইবন সাদের অবদান আলোচনা করা হলো :

১. পরিচয় :

 ইবনে সাদ ৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে ইরাকের বসরা শাহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হাশেমি বংশোদ্ভূত ছিলেন। বসরায় বাল্যকাল অতিবাহিত করার পর তিনি বাগদাদে চলে যান এবং সেখানে সমসাময়িক পণ্ডিতদের নিকট থেকে জ্ঞানার্জন করেন।

২. অবদান :

 ইবনে সাদ একজন বিখ্যাত মাগাজি লেখক ছিলেন। তিনি আল ওয়াকিদির একজন শিষ্য ছিলেন। তিনি মাগাজি সাহিত্য রচনায় ব্যাপক অবদান রাখেন ।

৩. গ্রন্থ রচনা :

 মাগাজি সাহিত্যে ইবনে সাদের শ্রেষ্ঠ অবদান হলো তার আল তাবাকাত আল কুবরা' নামক গ্রন্থটি । এ গ্রন্থটিতে তিনি মহানবি (সা.) ও সাহাবিদের বৃত্তান্ত আলোচনা করেছেন। এ গ্রন্থকে তিনি আটটি খণ্ডে বিভক্ত করেন ।

৪. মূল্যায়ন :

 ইবনে সাদ আল ওয়াকিদির ন্যায় তথ্য সংগ্রহে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করেছেন। তিনি ইসনাদের যথাযথ ব্যবহার করেছেন। তবে অনেকে তার গ্রন্থটির সমালোচনা করেছেন ৷


উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, মাগাজি হলো রাসুল (সা.) এর সামরিক অভিযানসংক্রান্ত বিবরণমালা। আর এ মাগাজি সাহিত্য রচনার দিকপাল ছিলেন আল ওয়াকিদি এবং ইবনে সাদ। মাগাজি সাহিত্য রচনায় আল ওয়াকিদি যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন তা পরবর্তীতে লেখকদের জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে। এছাড়া ইবনে সাদও এক্ষেত্রে যথেষ্ট পারদর্শিতা প্রদর্শন করেছেন। সর্বোপরি বলা যায় যে, মাগাজি রচনায় আল ওয়াকিদি ও ইবনে সাদের অবদান অপরিসীম ।

 


Post a Comment

Previous Post Next Post