খাদ্য কি? খাদ্যের কাজ কি? খাদ্যের উপাদানগুলো কি কি? আমিষ কি? সুষম খাদ্য কি? এতে কি কি খাদ্য উপাদান থাকা উচিত?

 

খাদ্য কি? খাদ্যের কাজ কি? খাদ্যের উপাদানগুলো কি কি? আমিষ কি? সুষম খাদ্য কি? এতে কি কি খাদ্য উপাদান থাকা উচিত?


খাদ্য কি? খাদ্যের কাজ কি? খাদ্যের উপাদানগুলো কি কি? আমিষ কি? সুষম খাদ্য কি? এতে কি কি খাদ্য উপাদান থাকা উচিত?

খাদ্য কি? খাদ্যের কাজ কি?

যে সকল জৈব উপাদান জীবদেহে শক্তি সরবরাহ করে ক্ষয়পূরণ, তাপ সংরক্ষণ ও রোগ প্রতিরোধক, শক্তিবর্ধন ইত্যাদি কার্য সাধন করে তাদের খাদ্য বলে । আমরা খাদ্য হিসেবে সেই পরিমাণ বস্তু গ্রহণ করি, যে পরিমাণ বস্তু গৃহীত বা ব্যবহৃত হলে শরীরের উপর কোন প্রত্যক্ষ ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি হয় না ৷

খাদ্যের কাজ:-

i. দেহ গঠন করে ।

ii.দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধিসাধন করে ।

III. তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে দেহে ।

iv. দেহের রোগ প্রতিরোধ করে ।

V. দেহের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম রাখে। 


খাদ্যের উপাদানগুলো কি কি? এগুলোর কয়েকটি উৎসের নাম লিখুন ।


খাদ্যের যে সব উপাদান জীবদেহের গঠন, বৃদ্ধিসাধন ও শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় সে সব উপাদানকে খাদ্যের উপাদান বলে । আমরা সচরাচর যে সকল খাদ্য উপাদান গ্রহণ করি তাদের মধ্যে মোট ছয় ধরনের উপাদান বিদ্যমান। নিম্নে খাদ্য উপাদান এবং এদের কয়েকটি উৎসবস্তুর নাম দেয়া হলো :

খাদ্যের উপাদান


ক. কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা 

খ. স্নেহ বা ফ্যাট যেমনঃ চাল, আটা, শাকসবজি, ফলমূল মাখন, তৈল, ঘি

গ. আমিষ বা প্রোটিন যেমনঃ মাছ, মাংস, ডিম

ঘ. খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন যেমনঃ বিভিন্ন প্রকার খাদ্যের সাথে A, B, C, D, E, K প্রভৃতি ভিটামিন বিদ্যমান

ঙ. খনিজ লবণ  যেমনঃ বিভিন্ন ধরনের ফলমূল

চ. পানি যেমনঃ নলকূপের পানি, বৃষ্টির পানি প্রভৃতি.


দুধকে আদর্শ খাদ্য বলা হয় কেন?

দুধকে আদর্শ খাদ্য বলা হয় কেন?

দুধে ছয়টি খাদ্যোপাদান পরিমাণ মাত্রায় রয়েছে। প্রোটিন হিসেবে দুধে রয়েছে কেজিন ও অ্যালবুমিন। দুধের মধ্যে চর্বি ছোট ছোট দানায় মিশে থাকে । কার্বোহাইড্রেট হিসেবে দুধে থাকে ল্যাক্টোজ ও দুগ্ধজাত শর্করা। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস প্রভৃতি প্রয়োজনীয় খনিজ প্রয়োজনীয় পরিমাণে দুধে রয়েছে। পানি দুধের অন্যতম প্রধান উপাদান । বস্তুত ভিটামিন সি ব্যতীত সব খাদ্যোপাদানই দুধে বিদ্যমান। দুধ সহজপাচ্য। সরাসরি বা রূপান্তরের মাধ্যমে শরীরে দুধের সকল উপাদান গৃহীত হয় । তাই দুধকে আদর্শ খাদ্য বলা হয় ।

আমিষ কি? পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক কি পরিমাণ আমিষের প্রয়োজন?


আমিষ কি? পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক কি পরিমাণ আমিষের প্রয়োজন?

আমিষ বা প্রোটিন হল দেহের প্রাথমিক খাদ্য। কার্বন (৫৪%), অক্সিজেন (২০%), হাইড্রোজেন (৭%), নাইট্রোজেন (১৫%) এবং কখনও কখনও সালফার (১%) ও ফসফরাসের (০.৬%) সমন্বয়ে প্রোটিন গঠিত। 

আমিষের প্রয়োজনীয়তা নারী-পুরুষভেদে ভিন্নতা দেখা দেয়। আমাদের দেহের বৃদ্ধি পঁচিশ বছর বয়স পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ সময়ে আমিষের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক আমিষের প্রয়োজন ৬৫ গ্রাম, পূর্ণবয়স্ক নারীর ক্ষেত্রে এ পরিমাণ ৫৫ গ্রাম ।

স্নেহ পদার্থ কি? এর কয়েকটি উৎসের নাম লিখুন ।

ফ্যাট হল পানিতে অদ্রবণীয় কিন্তু জৈব দ্রাবকে দ্রবণীয় প্রকৃতিজাত এক প্রকার পদার্থ। ফ্যাট কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত হলেও কার্বোহাইড্রেটের তুলনায় অক্সিজেনের পরিমাণ কম । উৎসেচকের ক্রিয়ায় এটি ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিণত হয় । ঘি, মাখন, বাদাম তেল, সরিষার তেল, কড মাছের তেল প্রভৃতিতে শতভাগ ফ্যাট বিদ্যমান । অন্যদিকে চীনাবাদাম, পেস্তাবাদাম, আখরোট প্রভৃতিতে প্রায় ৫০ শতাংশ ফ্যাট বিদ্যমান। এগুলোই স্নেহ পদার্থের উৎস হিসেবে সমধিক পরিচিত।

পানির ঘাটতিতে দেহে কি কি অসুবিধা দেখা দিতে পারে?

পানি জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য। পানি প্রাণীদেহে দ্রাবকের কার্য সম্পাদন করে। পানির মাধ্যমে দ্রবীভূত অবস্থার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদান দেহের সর্বত্র পরিবাহিত হয়। দেহে পানির ঘাটতি হলে নিম্নোক্ত অসুবিধাগুলো দেখা দিতে পারে:-

i. পানির অভাবে দেহের পানি ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হয়।

ii. পাচক রস ও খাদ্যরসের তরলায়ন ব্যাহত হয় ।

iii. বৃক্কের রেচন পদার্থ নিষ্কাশন ব্যাহত হয়।

iv. অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন দেহে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও আয়রনের ভারসাম্য নষ্ট করে ।

v. পানির অভাবে ক্ষুধামন্দা সৃষ্টি হয় এবং রক্ত সংবহনে ব্যাঘাত ঘটে।

মানবদেহে ক্যালসিয়ামের কাজ কি?

ক্যালসিয়ামের প্রধান কাজ অস্থি ও দন্ত গঠন করা । রক্ত জমাট বাঁধতে, অন্তঃ ও বহিঃকোষীয় তরলের চলাচল নিয়ন্ত্রণে ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ক্যালসিয়াম স্নায়ুর উদ্দীপন শক্তির জন্য অতি আবশ্যকীয়। মাতার দুগ্ধক্ষরণে এবং স্নায়ু ও পেশীয় উত্তেজনা হ্রাসে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা অপরিসীম ।


কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটে কি পরিমাণ শক্তি থাকে?


৪.২ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায় ১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেটে থেকে ।

১ গ্রাম প্রোটিনে থাকে ৪.৫ কিলোক্যালরি শক্তি ।

১ গ্রাম ফ্যাটে থাকে ৯.১ কিলোক্যালরি শক্তি ।


খনিজ লবণ কি?

খনিজ লবণ কি?

আমাদের দেহ যে সকল পদার্থ দ্বারা গঠিত তার মোট ওজনের ৪% খনিজ লবণ । খনিজ লবণ শারীরবৃত্তীয় কার্য, রোগ প্রতিরোধ, অস্থি গঠন ইত্যাদি কার্যে অংশগ্রহণ করে। প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের প্রায় ৭৫% ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। শরীর গঠনে আমিষের পরে খনিজ লবণের স্থান। দুধ, পনির, ডিমের কুসুম, বাদাম, বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, শাকসবজি, ডাল, গম, ঢেঁকি ছাটা চাল প্রভৃতি হতে আমরা খনিজ লবণ পেয়ে থাকি ।

খনিজ লবণের উপকারিতা কি?

খনিজ লবণের উপকারিতা :

i. খনিজ লবণ অস্থি, পেশী, রক্ত ইত্যাদি গঠনে সক্রিয় অংশ নেয়।

ii.এটি দেহের জলীয় অংশের সমতা রক্ষায় অংশ নেয়।

iii. খনিজ লবণ খাদ্য হতে শক্তি উৎপাদনে এবং পেশী সংকোচনে সহায়তা করে ।

iv. দেহের ক্ষয়রোধ, দাঁতের পুষ্টিসাধন ও রক্তশূন্যতা রোধে সহায়তা করে ।

v. বিভিন্ন এনজাইমকে সক্রিয় রাখে এবং গলগণ্ড রোগ প্রতিরোধ করে ।

কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার কাজ কি?


কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার কাজ :

i. দেহে তাপ ও শক্তি সরবরাহ করে।

ii. স্নেহজাতীয় পদার্থের দহনে সহায়তা করে ।

iii. আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ লবণ গ্রহণে সহায়তা করে এবং সেলুলোজ কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে। iv. কিটোসিস রোগ হতে রক্ষা করে ।

v.অতিরিক্ত শর্করা দেহে গ্লাইকোজেনরূপে সঞ্চিত থাকে। খাদ্যে শর্করার অভাব হলে গ্লাইকোজেন দেহে কর্মশক্তি যোগায় ।

প্রয়োজনের অতিরিক্ত স্নেহ পদার্থ গ্রহণ করলে কি প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়?


অতিরিক্ত স্নেহ পদার্থ গ্রহণের কুফল :

i. অতিরিক্ত স্নেহযুক্ত পদার্থ খেলে দেহে মেদ জমে মোটা হয় ।

ii. হৃদপিণ্ড ও ধমনীগাত্রে চর্বি জমে প্রাচীর মোটা ও শক্ত হয়ে যায় এবং রক্তপ্রবাহে বিঘ্ন সৃষ্টি করে 

iii. অতিরিক্ত চর্বি দেহে রক্তচাপ বাড়ায় এবং স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটায় ।

iv. চর্বিযুক্ত দেহ সহজে রোগাক্রান্ত হয় এবং চর্বি দানা আকারে রক্তে জমে হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।

মাছের তেলের উপকারিতা কি?


মাছের তেল রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না । এটি রক্তে ব্লাড প্রেসারের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে ।

পুষ্টি (Nutrition) কি?


যে প্রক্রিয়ায় জীবদেহ উপযুক্ত খাদ্য-উপাদানসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ, পরিপাক, শোষণ, আত্তীকরণ ও বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের মাধ্যমে দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন ও শক্তি উৎপাদন করে তাকে পুষ্টি বলে। পুষ্টির মূল কথা হলো খাদ্যবস্তুর সুপ্তশক্তি বা স্থিতিশক্তি প্রাণীদেহে ব্যবহারের উপযোগী শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়া।


আয়োডিন ও আয়রন কিসে কিসে পাওয়া যায়?


আয়োডিন পাওয়া যায় পেয়াজ, রসুন, বীট, ক্ষীরা ইত্যাদিতে। এছাড়া সামুদ্রিক মাছ আয়োডিনের প্রধান উৎস । আয়রন পাওয়া যায় কচু, কাঁচা কলা, কলিজা প্রভৃতিতে।

 

 অংকুরিত ছোলা, ছোলা হতে অধিক পুষ্টিকর। কেন?


ছোলাতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি ও খনিজ লবণ থাকে। তবে এগুলো সাধারণ অবস্থায় সবটুকু জীবের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু অংকুরিত অবস্থায় উক্ত উপাদানগুলো বিজারিত হয়ে জীবদেহের গ্রহণোপযোগী হয়ে ওঠে। সেজন্য অংকুরিত ছোলা, ছোলা হতে অধিক পুষ্টিকর হয়।

ভিটামিন এ'র অভাবজনিত রোগ নিবারণে সবুজ শাক-সবজি কিছু তেল দিয়ে রান্না করে খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। এখানে তেলের ভূমিকাটি কি? 


 চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন মানবদেহ তথা শিশুদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান । সবুজ শাক-সবজি ভিটামিন 'এ' এর অন্যতম প্রধান উৎস। শাকসবজি যদি কিছু তেল দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে ভিটামিন সহ চর্বিতে দ্রবণীয় অন্যান্য ভিটামিনগুলো - এ, ডি, ই, কে ইত্যাদি ভিটামিন তেলে দ্রবীভূত হয় না। ফলে এদের অপচয় হয় না এবং দেহ সহজেই ভিটামিন গুলো পেতে পারে। 


সবুজ শাক তেল দিয়ে রান্না করতে বলা হয় কেন?


চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন 'এ' মানবদেহ তথা শিশুদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান । সবুজ শাক-সবজি ভিটামিন 'এ' এর অন্যতম প্রধান উৎস। শাকসবজি যদি কিছু তেল দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে ভিটামিন 'এ' সহ চর্বিতে দ্রবণীয় অন্যান্য ভিটামিনগুলো তেলে দ্রবীভূত হয়ে যায় । ফলে এদের অপচয় হয় না এবং দেহ সহজেই ভিটামিনগুলো পেতে পারে।


লেবুর রস ও সিরকা দুটি মৃদু এসিড যেগুলো আমরা বাড়িতে খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহার  করি। এই দুইয়ের কোটি কোন এসিড?


লেবুর রসে সাইট্রিক এসিড রয়েছে। এটি একটি দুর্বল এসিড যা স্বল্প পরিমাণে মানুষের গ্রহণযোগ্য। খাদ্য সংরক্ষণে লেবুর রসের ব্যবহার রয়েছে।

সিরকা একটি মৃদু এসিড যা ভিনিগার নামে পরিচিত। এতে অ্যাসিটিক এসিড বিদ্যমান। অ্যাসিটিক এসিডের 4%-৪% জলীয় দ্রবণই সিরকা।

সুষম খাদ্য কি? এতে কি কি খাদ্য উপাদান থাকা উচিত?


সুষম খাদ্য কি? এতে কি কি খাদ্য উপাদান থাকা উচিত?

দেহের কলাকোষের বৃদ্ধি ও গঠনমূলক ক্রিয়াকলাপ, পুষ্টি ইত্যাদি কার্যাবলীকে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রিত করার জন্য এবং এদের মাঝে সমন্বয়সাধনের জন্য খাদ্যের উপাদানসমূহের নির্দিষ্ট অনুপাতের সংমিশ্রণে যে খাদ্য প্রস্তুত করা হয় তাকে সুষম খাদ্য বলে।

দেহের পরিপূর্ণ বিকাশ, পুষ্টিসাধন এবং কর্মশক্তি লাভের জন্য খাদ্যের ছয় প্রকার উপাদানই প্রয়োজন । সুষম খাদ্যে এই ছয় প্রকার উপাদান নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্রহণ করা হয় ।

সুষম খাদ্যের মধ্যে নিম্নলিখিত উপাদান থাকা দরকার :

১। এতে সাধারণত গড়ে ১ : ১ : ৪ অনুপাতে প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট থাকবে।

২। প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও রাফেজ সরবরাহের উদ্দেশ্যে সুষম খাদ্যে অবশ্যই সজীব খাদ্য, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৩। খনিজপদার্থ- ক্যালসিয়াম, লৌহ, সোডিয়াম ও পটাসিয়ামসমৃদ্ধ খাদ্য যুক্ত করতে হবে। ৪। সুষম খাদ্যে প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ পানি থাকতে হবে।


সুষম খাদ্য হিসেবে আমরা যা গ্রহণ করে থাকি :


দেহ গঠনের জন্য আমিষ বা প্রোটিনজাতীয় খাদ্য হিসেবে আমরা মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, ছোলা ইত্যাদি গ্রহণ করে থাকি । দেহের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় শক্তির জন্য শক্তি সরবরাহক খাদ্য হিসেবে আমরা শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাদ্য যেমন -চাল, গম, আলু, চিনি, গুড়, ঘি, মাখন ইত্যাদি গ্রহণ করে থাকি ।

প্রতিরক্ষামূলক খাদ্য অর্থাৎ দেহের রোগ প্রতিরোধের জন্য আমরা ভিটামিন ও খনিজ লবণজাতীয় খাদ্য যেমন - শাকসবজি, দুধ, ফল ইত্যাদি গ্রহণ করি। এছাড়া দেহের বিভিন্ন অংশের জলীয় ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পানি গ্রহণ করে থাকি।

 


Post a Comment

Previous Post Next Post