রাডার কি? রাডার কিভাবে কাজ করে ?

 
রাডার কি?  রাডার কিভাবে কাজ করে ?

রাডার কি?  রাডার কিভাবে কাজ করে ?

ইংরেজি RADAR শব্দটি Radio Detection and Ranging শব্দগুলোর সংক্ষেপিত রূপ।  রাডার হল এমন একটি কৌশল যার মাধ্যমে দূরবর্তী কোন বস্তুর উপস্থিতি, দিক, বৈশিষ্ট্য সনাক্ত করা হয় ।

নিম্নোক্ত কাজে রাডারের ব্যবহার রয়েছে –

  1.       বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ
  2.   সমুদ্রে জাহাজ চলাচল এবং সমুদ্র বন্দরের সন্নিকটে জাহাজের গতি নিয়ন্ত্রণ
  3.   প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘূর্ণিঝড় প্রভৃতির পূর্বাভাষ
  4.      চাঁদ ও মহাকাশ গবেষণা


রাডারের কার্যপ্রণালী :


বস্তুর উপস্থিতি ও গতিবিধি জানার জন্য রাডারের প্রেরক যন্ত্র থেকে রেডিও ফ্রিকুয়েন্সী-শক্তির ক্ষুদ্র ক্ষমতাসম্পন্ন পালস উচ্চ দিকমুখী এন্টেনার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয় যাতে বস্তুটি থেকে বিকিরণ প্রতিফলিত হতে পারে।  রাডারে সাধারণত মাইক্রোওয়েভ ব্যবহৃত হয়।  বস্তু থেকে তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে রাডারের গ্রাহক যন্ত্রে আসে। প্রাপ্ত তথ্যকে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশক ব্যবহার করা হয় ।  নির্দেশক বস্তুটির দূরত্ব, উন্নতি সংক্রান্ত তথ্য ক্যাথোড-রে টিউবের পর্দায় উপস্থাপন করে।


রাডার কিভাবে বস্তুর দূরত্ব নির্ণয় করে?


প্রেরক যন্ত্র থেকে অতি উচ্চ ফিকুন্সীর বেতার তরঙ্গ সামনের দিকে পাঠানো হয়। এই তরঙ্গগুলো সরলরেখায় চলে। বস্তু কর্তৃক সূক্ষ্ম বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে এর কিছু অংশ ফিরে আসে । গ্রাহক যন্ত্র প্রথমে তা গ্রহণ করে এবং সংকেত রূপান্তরিত করে নির্দেশক যন্ত্রে বা পর্দায় বিম্ব গঠন করে। বিশ্বের প্রতিকৃতি দেখে বাড়ার দূরবর্তী অবস্থানের বিমান বা নিম্নচাপের পরিস্কার ধারণা দেয় ।


প্রেরক যন্ত্র থেকে পাঠানো তরঙ্গ বস্তু কর্তৃক প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসতে যে সময় লাগে রাডার তা লিপিবদ্ধ করে । এই সময়কে আলোর গতিবেগ দিয়ে গুণ করলে যা পাওয়া যায় তা হচ্ছে রাডার ও বস্তুর দূরত্বের দ্বিগুণ। এর অর্ধেকই হচ্ছে রাডার থেকে ঐ বস্তুর দূরত্ব এইভাবেই রাডার বস্তুর দূরত্ব নির্ণয় করে।


সিগন্যাল জ্যামিং কি?

রাডার কি?  রাডার কিভাবে কাজ করে ?

কোন রেডিও যোগাযোগ বা রাডার ব্যবস্থায় অচলাবস্থা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অথবা এর কার্যকারিতা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী সংকেত তৈরি ও প্রয়োগ করাকে জ্যামিং বলা হয়। এ ব্যবস্থায় রেডিও সম্প্রচার অথবা বেতার বার্তাকে রুদ্ধ করে দেওয়া যায়। যে এলাকায় বেতার সম্প্রচার বা বাণী গৃহীত হবে সেদিকে একই কম্পাঙ্কবিশিষ্ট অধিকতর শক্তিশালী সংকেত প্রেরণ করা হয় ।  গ্রহণীয় বার্তাটির বোধগম্যতা যাতে পুরোপুরি বিনষ্ট করা যায় সে উদ্দেশ্যে নির্বাচিত নয়েজ মডুলেশন ব্যবহার করা হয ।

 

ইলেকট্রনিক চক্ষু এবং ইলেকট্রনিক মস্তিষ্ক বলতে কি বুঝায় ?


ইলেকট্রনিক চক্ষু হল রাডার। RADAR শব্দটির পূর্ণরূপ হল Radio Detection and Ranging ( RADAR) . রাডার এর মাধ্যমে “মাইক্রোওয়েভ” তরঙ্গ চারপাশে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এই বেতার তরঙ্গ কোন বস্তুতে প্রতিফলিত হয়ে রাডার স্টেশনে ফিরে এলে; প্রতিফলিত তরঙ্গের ফিরে আসার মধ্যবর্তী সময়, কি পরিমাণ তরঙ্গ ফিরে এসেছে এগুলো বিবেচনা করে উক্ত বস্তুর অবস্থান, বেগ, আকার প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় ।


রাডারের সাহায্যে বেতার তরঙ্গ পাঠিয়ে কোন বস্তুর অবস্থান, বেগ, আকার, প্রভৃতি তথ্য তাৎক্ষণিক জানা যায । জাহাজ, বোমারু বিমান, মিশাইল বা অন্য যে কোন বস্তুর চিত্র রাডারের পর্দায় ভেসে ওঠে। এজন্য একে ইলেকট্রনিক চক্ষু বলে ৷ ইলেকট্রনিক মস্তিস্ক হল কমপিউটার। মানুষের মস্তিষ্কের চিন্তাশক্তির ব্যবহারের ন্যায় কমপিউটার মানুষের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারে। মানুষের যে কোন যৌক্তিক নির্দেশ অনুযায়ী কমপিউটার কাজ করতে পারে, এমনকি কমপিউটার মানুষের গলার স্বরও বুঝতে পারে। মানুষের মস্তিস্কের ন্যায় কার্যক্ষমতা রয়েছে বলে কমপিউটারকে ইলেকট্রনিক মস্তিস্ক বলা হয় ।

 

রাডারের ব্যবহার লিখুন

রাডার কি?  রাডার কিভাবে কাজ করে ?

রাডার এমন একটি কৌশল যার সাহায্যে দূরবর্তী কোন বস্তুর উপস্থিতি, দূরত্ব ও দিক নির্ণয় করা যায়। RADAR শব্দটি Radio Detection and Ranging শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। যুদ্ধে শত্রু বিমানের উপস্থিতি ও গতিবিধি জানার জন্য মূলত এর উদ্ভব হলেও শান্তির সময় সমুদ্রে জাহাজ এবং আকাশে বিমানের পথ নির্দেশ, ঝড়ের পূর্বাভাষ ইত্যাদি কাজেও এটি ব্যবহার করা হয়।


Post a Comment

Previous Post Next Post