ডায়াবেটিস রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ামাবলী ২০২৪
ক) সাধারন নিয়মাবলী
• ৫-৬ বারে তিন
বেলার খাবার ভাগ করে খাবেন।
* মাটির নিচে হয় এমন সবজি কম খাবেন (কচু,
ওল, আলু, মুলা, গাজর, শালগম, ওলকপি, বিপকপি, শাকআলু, মাটি আলু,) মাটির উপরের সব সবজি
খাওয়া যাবে।
• মিষ্টি কুমড়া
কম খাবেন।
* কামড়ে খেতে হয় এমন ফল খাওয়া যাবে
(আপেল, নাসপাতি অর্ধেক, বরই ৫-৬টা, ছোট কলা ১টা বড় অর্ধেক, আমড়া, পেয়ারা, কামরাঙা,
জলপাই, জামরুল, কাচা শসা, ইচ্ছে মতো।
• মিষ্টি জাতীয়
খাবার না খাওয়ার চেষ্ঠা করবেন।
* চর্বি জাতীয় খাবার (গরু/খাসির মাংস,
চিংড়ি মাছ, মগজ, কলিজা, নারকেল, ডিমেস কুসুম) কম খাবেন।
• প্রতিদিন ৩৫
মিনিট মধ্যম গতিতে হাঁটবেন কমপক্ষে সপ্তাহে ০৫ দিন।
* প্রতি মাসে অন্ততঃ ১বার রক্তের সুগার
পরীক্ষা করবেন।
* সম্ভব হলে বাড়ীতে গুকোমিটার দিয়ে সপ্তাহে
অথবা ০১ দিনে ০৪ বার (খালি পেটে, নাস্তা, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারের ২ ঘন্টা পরে)
খ) খাবারের উদাহরণ
০১) সকালের নাস্তা (৮.০০টা-৯.০০টা)
• হাতের বানানো
রুটি ০২/৩টা
• সবজি ইচ্ছে মতো
• ডিম ১টা
• চিনি ছাড়া চা
০২) বেলা (১০.০০টা-১১.০০টা)
• ১টা রুটি + সব্জি
অথবা ১কাপ মুড়ি অথবা ১কাপ চিড়া ভিজানো
• মিষ্টি ছাড়া
বিস্কুট ২/৩টা
• সাথে যে কোন
১টি ফল
০৩) বিকালের নাস্তা (০৫-০০টা-০৬.০০টা)
• মুড়ি ১কাপ + দুধ ১কাপ (স্বর ছাড়া) অথবা বিস্কুট চিনি ছাড়া টা
• ফল ১টা
০৪) দুপুরের খাবার (২.০০টা-৩.০০টা
* ভাত (মাঝারী সাইজের) ২/৩ কাপ
• সবজি ইচ্ছে মতো
• ডিম ১টা
• চিনি ছাড়া চা
০৫) দুপুরের খাবার (২.০০টা-৩.০০টা
* ভাত (মাঝারী সাইজের) ২/৩ কাপ
• সবজি ইচ্ছে মতো
• ডাল ১ কাপ
• মাছ/মাংস ২ টুকরা
০৬) রাতের খাবার (০৮.৩০টা-০৯.০০টা)
• হাতের বানানো
রুটি ০২/৩টা
* সবজি ইচ্ছে মতো
• ডাল ১ কাপ
• মাছ/মাংস ২ টুকরা
হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করা স্বল্পতা)
রক্তে শর্করার পরিমাণ কমানোর জন্য ট্যাবলেট
বা ইনসুলিন দেওয়া হয়। যদি শর্করার পরিমাণ খুব কমে যায় (৩.৯ মিলি মোল/লিটার-এর কম
হয়) তাহলে শরীরে প্রতিক্রিয়া হতে পারে ।
প্রতিক্রিয়ার লক্ষণগুলি নিম্নরূপঃ
ক) অসুস্থ বোধ করা ।
খ) খুব বেশি খিদে পাওয়া ।
গ) বুক ধড়ফড় করা।
ঘ) বেশি ঘাম হওয়া ।
ঙ) শরীর কাঁপতে থাকা
চ) শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা।
ছ) অস্বাভাবিক আচরণ করা।
জ) অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে কি করা উচিত :
হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষন দেখা দিলে দ্রুত
রোগীকে চা-চামচের ৪ থেকে ৮ চামচ গ্লুকোজ বা
চিনি এক গ্লাস পানিতে ভালোভাবে গুলিয়ে খাইয়ে দিতে হবে। রোগী মুখে খাবার না নিতে পারলে গ্লুকোজ ইনজেকশন দিতে হবে বা
তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
কখন কি পরীক্ষা করাবেন
রক্তের
গ্লুকোজ |
প্রতি
মাসে অন্তত একবার (ল্যাবরেটরীতে) |
রক্তের
গ্লুকোজ |
বাসায়
মেশিনে যত বেশী সম্ভব |
এইচ
বি এ১ সি (HbA1C) |
প্রতি
৩ মাসে একবার |
লিপিড
প্রোফাইল (খালি পেটে) |
প্রতি
৩ মাসে একবার |
ইউরিন
রুটিন পরীক্ষা |
প্রতি
৬ মাসে একবার |
চোখ
এবং হৃদযন্ত্র (ই.সি.জি) |
বছরে
একবার |
এলার্জি, এ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়সমূহ
* ধূলাবালি থেকে বাচতে রাস্তা ঘাটে চলাচলের
সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন।
* বাসা বাড়িতে কার্পেট ব্যবহার না করাই
অতি উত্তম।
* ঘরে ধূঁপ ব্যবহার করবেন না।
* উচ্চ মাত্রায় সুগন্ধি ব্যবহার থেকে
বিরত থাকুন।
* যেকোন প্রকার স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ এড়িয়ে
চলুন।
* বাসায় বিড়াল, কুকুর বা অন্য কোন প্রাণী
পোষা থেকে বিরত থাকুন।
* মশার কয়েলও শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করে থাকে এর থেকে নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান করুন।
* স্প্রে করার সময় নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করুন
কারণ এটাও বেশ ক্ষতিকর।
* ধূমপান পরিহার করা অপরিহার্য।
* ঠান্ডা খাবার গ্রহণ করা পরিহার করুন।
* বাসা বাড়িতে ফ্রীজে রাখা খাবার ভালো
করে গরম করে গ্রহণ করুন।
* পুরাতন বইপত্র এবং বিছানা বা কার্পেট
ঝেড়ে নেওয়ার সময়ও মাস্ক ব্যবহার করুন বা গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন।
* শীতকালে লেপ-তোষক ভাল করে রোদে শুকিয়ে
ব্যবহার করুন।
* শীতের সময় শীতবস্ত্র ধুঁয়ে ব্যবহার
করুন।
* শীত থেকে বাচতে উলের কাপড়ের পরিবর্তে
সুতি অথবা জিন্সের কাপড় ব্যবহার করুন।
* ছোট বা বড় ফুল ধরা গাছের নিচে বা তার
আশেপাশে বসবেন না। ফুলের পাপড়ি আপনার শ্বাসকষ্ট
বাড়াবে।
* ঘরে যাতে তেলাপোকা এবং ছারপোক বাসা বাধতে
না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখুন ।
* লক্ষ্য রাখুন কি কি কারণে আপনার এলার্জি,
এ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সে অনুযায়ী সিন্ধান্ত নিন আরো কি কি করা দরকার।
যেসব খাবার পরিহার করবেন
ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, দুধ, হাঁসের ডিম
(সাদা অংশ), মিষ্টি কুমড়া, কচু, বেগুন, আপেল, কলা এ সকল খাদ্য আপনার এলার্জি ও শ্বাসকষ্ট
বাড়িয়ে দিবে। তা এসব থেকে সাবধনা থাকুন ।
ইনহেলার নেবার পদ্ধতি সঠিক ভাবে শিখে নিবেন।
সরাসরি নিতে না পারলে স্পেসার দিয়ে নিতে হবে। স্পেশারে একবার ইনহেলার স্প্রে করে ৪-৫
বার শ্বাস নিতে হবে। এখাবে পৃথক ২ চাপ নিতে হবে।