আরবদের সিন্ধু বিজয়ের পটভূমি বর্ণনা কর। ভারত ও ইসলামের ইতিহাসে এ বিজয়ের ফলাফল কী হয়েছিল ?
ভূমিকা : আরব মুসলমান কর্তৃক সিন্ধু বিজয় ইসলামের সামরিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মুসলমানগণ সামরিক শক্তি দ্বারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তরে এর ইসলামের বাণী পৌঁছে দিয়েছেন। এ ধারাবাহিকতায় ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে পূর্বাঞ্চলীয় শাসনকর্তা হাজ্জাজ বিন ইউসুফের নির্দেশে শুভ তারই জামাতা ও ভ্রাতুস্পুত্র মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধু আক্রমণ করে ভারতীয় উপমহাদেশে আরব মুসলমানদের আধিপতা প্রতিষ্ঠা করেন।
আরবদের সিন্ধু বিজয়ের কারণ: আরবদের সিন্ধু বিজয়ের কারণকে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
ক. পরোক্ষ ও খ. প্রত্যক্ষ কারণ।
ক. পরোক্ষ কারণ: আরবদের সিন্ধু বিজয়ের পরোক্ষ কারণ নিম্নরূপ:
১. রাজনৈতিক কারণ:
৬৩৬-৩৭ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় খলিফা। হযরত ওমরের (রা) আমলে মুসলমানগণ ভারত অভিযানের প্রথম চেষ্টা করে। কিন্তু তখন সফল হয়নি। দূরাভিযানের বিপদ এবং দুঃখ-দুর্দশার কথা বিবেচনা করে খলিফা ওমর পরবর্তী অভিযান বন্ধ রাখেন।
৬৬০
খ্রিঃ আলী (বা) এর সময়ে এবং উমাইয়া খলিফা মুয়াবিয়ার আমলে অভিযানগুলোও সফলতা লাভ করতে
পারেনি। তারপর রাজনৈতিক কারণে মুসলমানগণ ভারত আক্রমণ করেনি। পরবর্তী উমাইয়া খলিফা প্রথম
ওয়ালিদের পূর্বাঞ্চলীয় শাসনকর্তা হাজ্জাজ বিন ইউসুফ আরব সাম্রাজ্যের সীমা বিস্তারের
জন্য সিন্ধুতে অভিযান প্রেরণ করেন।
২. অর্থনৈতিক কারণ:
প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলসমূহের
সাথে আরব বণিকদের বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছিল। ইসলামের আবির্ভাবের পর দীর্ঘকালের সম্পর্ক
ও পেশাগত ঐতিহ্য অনুসারে তারা সম্পদশালী ভারতবর্ষে পাড়ি জমায়।
ব্যবসায় বাণিজ্যের সম্প্রসারণ সর্বোপরি আর্থিক অবস্থার
উন্নয়নকল্পে আরবগণ ভারতবর্ষ আক্রমণে প্রলুব্ধ হয়। উপরন্তু, জলদস্যুদের আক্রমণ থেকে
সামুদ্রিক বাণিজ্যের নিরাপত্তা বিধানের জন্যও ভারতবর্ষ আক্রমণ মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য
হয়ে পড়ে।
৩. পারস্যবাসীকে সাহায্য দান:
আরব মুসলমানদের পারস্য অভিযানের সময় সিন্ধুর
শাসনকর্তা মুসলমানদের বিরুদ্ধে। পারস্যকে সাহায্য করেছিল। এতে সিন্ধুরাজের প্রতি মুসলমানগণ
অসন্তুষ্ট হয়েছিল এবং সিন্ধু অভিযানে ইন্ধন যোগায়।
৪. সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কা:
পারস্য বিজয়ের ফলে মুসলিম সাম্রাজ্যের
সীমা ভারতবর্ষের বেলুচিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে। মাকরান পর্যন্ত বিস্তার লাভ করায় তারা
সিন্ধু দেশের অতিসন্নিকটে এসে পড়ে। ভারতীয় হিন্দু রাজাদের বৈরী মনোভাব ও সামরিক উস্কানির
পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রসারণ ব্যতীত খিলাফতের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায়
মুসলমানগণ বাধ্য হয়ে সিছুতে অভিযান প্রেরণ করেন।
৫. আরব বিদ্রোহীদের আশ্রয়দান :
উমাইয়া খলিফা প্রথম ওয়ালিদের পূর্বাঞ্চলীয় শাসনকর্তা
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের কঠোর শাসনে অতিষ্ঠ হয়ে কতিপয় মুসলমান বিদ্রোহী হয়ে উঠে এবং সিন্ধুর
সীমান্ত অতিক্রম করে সিন্ধুরাজ দাহিরের নিকট আশ্রয় লাভ করেন। হাজ্জাজ তাদের ফেরত চাইলে
দাহির অস্বীকার করেন। ফলে তাকে শাস্তি দানের জন্য সিন্ধুতে অভিযান পরিচালনা করেন ।
৬. উমাইয়া সম্প্রসারণবাদ:
উমাইয়া খলিফা আল- ওয়ালিন (প্রথম) এবং পূর্বাঞ্চলীয়
শাসনকর্তা হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ছিলেন মনে প্রাণে সাম্রাজ্যবাদী শাসক। সুতরাং সিদ্ধ বিজয়
ছিল তাঁদের বিস্তীর্ণ রাজ্য জয়েরই অংশ বিশেষ।
খ. প্রত্যক্ষ কারণ:
আরবদের সিন্ধু বিজয়ের প্রত্যক্ষ কারণ নিম্নরূপ:
১. জাহাজ লুণ্ঠন:
সিন্ধুর সামুদ্রিক বন্দর দেবলের নিকট জলদস্যুদের দ্বারা মুসলমান জাহাজ লুন্ঠন ছিল সিন্ধু অভিযানের. প্রধান ও প্রত্যক্ষ কারণ। সিংহলে বাণিজ্যরত যেসব আরব বণিক সেখানে প্রাণ ত্যাগ করেছিল সিংহলরাজ তাদের বিধবা স্ত্রী ও অনাথ পুত্র কন্যাদের স্বদেশে পাঠাবার ব্যবস্থা করেন এবং সাথে খলিফা প্রথম ওয়ালিদ ও হাজ্জাজ বিন ইউসুফের জন্য বহু মূল্যবান উপহার সামগ্রী প্রেরণ করেন।
আটটি জাহাজ এসব
বহন করে বসরার পথে রওয়ানা হলে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে। সিন্ধুর দেবলে গিয়ে উপনীত হয়।
স্থানীয় জলদস্যুগণ এসব জাহাজ ভর্তি উপহার সামগ্রী লুন্ঠন করে মৃত বণিকদের স্ত্রী কন্যাদের
বন্দি করে রাখে।
২. ক্ষতিপূরণ দানে অস্বীকৃতি:
জাহাজগুলো লুণ্ঠন হওয়ার সংবাদে হাজ্জাজ অত্যন্ত মর্মাহত
হন। তিনি অপহৃত দ্রব্য ও বন্দিদের ফেরত দেয়ার এবং অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের অনুরোধ
জানিয়ে রাজা দাহিরের নিকট পত্র পাঠালেন। কিন্তু জবাবে দাহির জানালেন যে, জলদস্যুরা
তার শাসন বহির্ভূত এবং তাদের শাস্তি দেয়া তার দায়িত্ব নয়।
এতে হাজ্জাজ অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে খলিফার
অনুমতি ক্রমে জলদস্যুদের শাস্তি দেয়ার জন্য উবায়দুল্লাহ ও বুদায়েলের নেতৃত্বে পরপর
দুটি অভিযান প্রেরণ করেন। যুদ্ধে দুই সেনাপতিই নিহত হন। ফলে তৃতীয়বারের মতো মুহাম্মদ
বিন কাসিমের নেতৃত্বে সিন্ধু অভিযানে প্রেরণ করেন।
সিন্ধু বিজয়ের ঘটনা:
পর পর দুবার অভিযান ব্যর্থ হলে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ তৃতীয়বারের মতো তার
ভ্রাতৃপুত্র ও জামাতা ১৭ বছরের তরুণ সেনাপতি মুহাম্মদ, বিন কাসিমের নেতৃত্বে সিন্ধু
অভিযান প্রেরণ করেন। ঈশ্বরী প্রসাদ বলেন, "মুহাম্মদ বিন কাসিমের
সিন্ধু অভিযান ইতিহাসের অন্যতম রোমাঞ্চকর ঘটনা।
তিনি ৬,০০০ সুদক্ষ সিরীয় ও ইরাক সৈন্য, ৬,০০০ উদ্ভারোহী এবং ৩,০০০ রসদবাহী উই নিয়ে সিন্ধু অভিযানের উদ্দেশ্যে মাকরানের মধ্য দিয়ে ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে সিন্ধুর দিকে অগ্রসর হয়। হিন্দুদের পরাজিত করে মুসলমানগণ দেবল নগরী দখল করেন। এরপর তিনি নিরুন, সিহওয়ান, সিসাম প্রভৃতি দুর্গ জয় করেন।
৭১২ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জুন সিন্ধুনদের
তীরে রাওয়ার নামক স্থানে মুহাম্মদ বিন কাসিম রাজা দাহিরের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।
এ যুদ্ধে দাহির পরাজিত ও নিহত হন এবং তার মৃত্যুতে দাহিরের সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে
পলায়ন করে।
অতঃপর মুহাম্মদ বিন কাসিম হিন্দুদের শক্তির শেষ উৎস মূলতানের দিকে অগ্রসর
হলেন। ৭১৩ খ্রিষ্টাব্দে মুলতান দখলের মধ্য দিয়ে দাহিরের সমগ্র রাজ্য মুসলমানদের হস্তগত
হয়। এভাবে ইসলামের বিজয় পতাকা ভারতবর্ষে উত্তোলিত হয়।
আরবদের সিন্ধু বিজয়ের ফলাফল:
আরবদের সিন্ধু বিজয়ের ফলাফল অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী হয়েছিল। নিম্নে সিন্ধু
বিজয়ের ফলাফল আলোচনা করা হলো:
১. রাজনৈতিক ফলাফল:
আরবীয় মুসলমানগণ কর্তৃক ভারতীয় উপমহাদেশের
সিন্ধু বিজয় নিঃসন্দেহে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা। কিন্তু এর রাজনৈতিক ফলাফল সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের
মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
ঐতিহাসিক স্টেনলি লেন পুল (Stanly
Lane Poole) বলেন, "আরবগণ সিন্ধু বিজয় করেছিলেন কিন্তু তাদের এ বিজয় ছিল ভারতবর্ষ
এবং ইসলামের ইতিহাসে কেবল একটি উপাখ্যান, নিষ্ফল বিজয়।
ঈশ্বরী প্রসাদ বলেন, "এ সত্যকে স্বীকার করতেই
হবে যে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে আরবদের সিন্ধু বিজয়। ইসলামের ইতিহাসে একটি
অকিঞ্চিৎকর ঘটনা।" কিন্তু ঐতিহাসিকদের এ মত গ্রহণযোগ্য নয়।
কেননা মুহাম্মদ বিন কাসিমের আকস্মিক মৃত্যু
ঘটলেও সিন্ধু ও মুলতান প্রদেশে তার মৃত্যুর পরও অনেকদিন মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত ছিল।
তাছাড়া আরব সৈন্যদের অনেকে চিরদিনের জন্য সিন্ধুতে বসতি স্থাপন করে।
আরব মুসলমান ও হিন্দুগণ শান্তি ও একতার
মধ্যে দীর্ঘদিন বসবাস করে। তাছাড়া সিন্ধু বিজয়কে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে সুলতান মাহমুদ
ভারত আক্রমণ করেন। সুতরাং রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে সিন্ধু বিজয়ের শুরুত্ব
একেবারে অস্বীকার করা যাবে না।
২. অর্থনৈতিক ফলাফল:
প্রাচীনকাল থেকে আরবের সাথে এ অঞ্চলের
বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছিল। সিন্ধু বিজয়ের ফলে এ দেশের সাথে আরবদের পূর্বের বাণিজ্যিক আদান
প্রদান আরো অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।
এ বিজয়ের ফলে আরবের মুসলমান বণিকদের জন্য
দক্ষিণ এশিয়ার সামুদ্রিক বাণিজ্যের পথকে সুগম ও সম্প্রসারিত করে। সিন্ধু বিজিত হওয়ার
পর সিন্ধুবাসীগণ বহির্বিশ্বের সাথে ব্যবসায় বাণিজ্য শুরু করে।
৩. সামাজিক ফলাফল:
সিন্ধু বিজয়ের ফলে মুসলমানগণ সর্বপ্রথম
ভারতবর্ষের হিন্দুদের সংস্পর্শে নিয়ে আসে। হিন্দু ও মুসলমান ভিন্ন দুটি জাতির সহাবস্থানের
ফলে দেশের সামাজিক ব্যবস্থায়ও বিরাট পরিবর্তন গঠিত হয়।
সামাজিক জীবনে তারা একে অন্যের রীতিনীতি
অনেকাংশে গ্রহণ করে। মুসলমানরা বিজিত অঞ্চলে অভিজ্ঞ ব্রাহ্মণ প্রশাসক নিযুক্ত করে তাদের
নিকট থেকে ভারতীয় শাসন পদ্ধতি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করে।
ঈশ্বরী প্রসাদ বলেন, "আরকাণ হিন্দুদের
নিকট থেকে বাস্তব প্রশাসন ব্যবস্থার অনেক কিছু। শিক্ষালাভ করেন এবং প্রশাসনিক বিষয়াদি
দক্ষভাবে সম্পাদনে অধিক সংখ্যায় ব্রাহ্মণ কর্মচারীর নিয়োগ ছিল তাদের উন্নত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা
উপযুক্ততার জন্য।" আরবদের অনেকে সিন্ধু অঞ্চলের নারীদের বিবাহ করে। ফলে তাদের
মধ্যে আর্য ও সেমেটিক জাতির সংমিশ্রণে নতুন একটি জাতির উদ্ভব হয়।
৪. ধর্মীয় ফলাফল:
আরবদের সিন্ধু বিজয়ের পর ভারতবর্ষে ইসলাম প্রচার
ও প্রসারের ক্ষেত্রে এক সুদূরপ্রসারী প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। আরব বণিকদের সাথে ধর্ম প্রচারকগণের
অনেক পূর্বকাল থেকে এদেশে আগমন ঘটলেও সিন্ধু অভিযানের পর তারা সমগ্র উপমহাদেশে ইসলামের
শাশ্বত বাণী ছড়িয়ে দেন।
তাদের অধিকাংশ ছিলেন, ইতিহাস বিখ্যাত পীর-দরবেশ,
অলি-আউলিয়া ও সুফী-সাধক। তাদের প্রচারিত সাম্য, মৈত্রী, সহিষ্ণুতা ও উদারতা নির্যাতিত
হিন্দু সম্প্রদায়কে আকৃষ্ট করে এবং তারা দলে দলে ইসলামের পতাকাতলে সমবেত হয়।
৫. সাংস্কৃতিক ফলাফল:
আরবের সিন্ধু বিজয় সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে
এক সুদূরপ্রাসারী প্রভাব ছিল। এ প্রথম আরবগণ হিন্দুদের সংস্পর্শে এসে ভারতীয় দর্শন,
গণিত, সংগীত, জ্যোতির্বিদ্যা, লোকগীতি, সাহিত্য, হিন্দুধর্ম, স্থাপত্যকলা, চিত্রকলা
প্রভৃতি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন। সিন্ধু বিজয়ের ফলে ভারতীয় শিক্ষাদীক্ষা, জ্ঞানবিজ্ঞান
ও সাহিত্যের সাথে মুসলমানদের পরিচয় ঘটে।
উমাইয়া ও আব্বাসীয় খলিফাদের প্রচেষ্টায় মুসলিম জ্ঞান
ভাণ্ডার বিশেষভাবে সমৃদ্ধ হয়েছিল। আব্বাসীয় খলিফা হারুনের মন্ত্রী ইয়াহিয়া বার্মাকী
এবং তাঁর দুই পুত্র ভারতীয় জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রতি খুবই অনুরক্ত ছিলেন। খলিফা আল-মনসুরের
সময় কয়েকজন হিন্দু পণ্ডিত বাগদাদে আগমন করেছিলেন। তারা জ্যোতির্বিদ্যার উপর 'সিদ্ধান্ত'
নামে একটি সংস্কৃত গ্রন্থ সাথে করে নিয়ে আসেন।
আরব ঐতিহাসিক তাবারীর বর্ণনা থেকে জানা
যায় যে, খলিফা হারুন কঠিন রোগে আক্রান্ত হলে একজন ভারতীয় হিন্দু চিকিৎসক তাকে রোগমুক্ত
করেন। আরবগণ হিন্দুদের নিকট থেকে গাণিতিক ধারণাও লাভ করেন।
অপরদিকে ভারতবাসী মুসলমানদের নিকট থেকে নতুন আদর্শ,
তৌহিদের বাণী উন্নত আচার আচরণ প্রভৃতি জ্ঞান লাভ করেন। ড. ঈশ্বরী প্রসাদ বলেন,
"মুসলিম কৃষ্টির উপর এ বিজয়ের প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী।
উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, আরবদের সিন্ধু বিজয় ইসলামের ইতিহাসে
একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।